ঝড়-বৃষ্টির কারণে ট্রেনের ওভারহেড তারে বিপত্তি দেখা যায়। যার জন্যে আটকে রইল বহু ট্রেন। পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। মুহূর্তেই যেন রেলশহর খড়গপুর বদলে যায় কাশ্মীরে। এত শিলাবৃষ্টি আগে দেখেনি খড়গপুড়ের মানুষ। চারিদিকে সাদা হয়ে যায় শিলে।
আরও পড়ুন: কাজলের মেয়ে নাইসাকে দেখে হাউ হাউ করে কান্না! অজয় দেবগণ-টাবুর কি সত্যিই প্রেম? বলিউড তোলপাড়
advertisement
স্বাভাবিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনের তরফে ভেঙে যাওয়া গাছ বা অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত জিনিস সরিয়ে ফেলা হয়। ঝড়-বৃষ্টির পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতি করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে রেল।
এখন বর্ষাকাল নয়, পড়েনি গরমও। তবে হঠাৎ কেন প্রকৃতির এমন রুদ্ররূপ? প্রসঙ্গত গ্রীষ্মের শুরুর সময় এই ধরনের শিলাবৃষ্টি দেখা যায়। তবে কেন শীতের পরে এমন শিলাবৃষ্টির সাক্ষী থাকতে হল রেলশহর খড়গপুরকে? পরিবেশবিদরা মনে করছেন, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা খুব বেশি হলে প্রবল বেগে ভূপৃষ্ঠের দিকে নেমে আসে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন: ভুঁড়ির সাইজ কিছুতেই কমছে না? মেদ ঝরানোর জাদুকাঠি আদা! শুধু দিনের এই সময়ে এভাবে খান, জানুন
শুধু তাই নয়, বায়ুমণ্ডলে থাকা জলীয় বাষ্প জমাট বেঁধে শিলাতে রূপান্তরিত হয়। স্বাভাবিক ভাবে যে কারণে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। মনে করা হচ্ছে এ বছর শীত খুব একটা পড়েনি। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সেক্ষেত্রে এই শিলাবৃষ্টির মতো ঘটনা।
প্রসঙ্গত, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর, কলাইকুণ্ডা, ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কলাইকুণ্ডা, হিজলী-সহ একাধিক এলাকায় ওভারহেড তারের সমস্যা দেখা যায়। ফলত বেশ কিছু জায়গায় দূরপাল্লার ট্রেন আটকে যায়। খড়গপুর শহরে একাধিক জায়গায় ছোট বড় গাছ ভেঙে পড়ে। মানুষের তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেশ কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও এই শিলাবৃষ্টির কারণে সাদা বরফের চাদরে ঢেকে যায় রেলশহর।
আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল ঝড়-বৃষ্টির। তবে এমন প্রবল শিলাবৃষ্টির সম্মুখীন হতে হবে খড়গপুরের মানুষকে তা তাঁরা জানতেন না। তবে গ্রামীণ এলাকায় চাষে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। স্বাভাবিক ভাবে প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনা আগামীতে যে ঘোর বিপদ ডেকে আনছে তা বলার অপেক্ষায় রাখে না।
রঞ্জন চন্দ