এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে বাহবা কুড়িয়েছে ছোট্ট এই পড়ুয়া। রাস্তায় হারিয়ে গিয়েছিল মানিপার্স। তাতে টাকা ছাড়াও ছিল গুরুত্বপূর্ণ কাগজ। সেই সব হারিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সোমনাথ সার।
টাকা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, তাঁর হারিয়ে যাওয়া মানিপার্স পাওয়া গিয়েছে। সেই মানি পার্স কুড়িয়ে পেয়েছে এক নাবালক। যদিও সেখান থেকে খোয়া যায়নি এক টুকরো কাগজও এক নাবালকের সততায় সব কিছু ফিরে পেয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে! দুই ভোটার তালিকায় নাম? এবার জানুন প্রশাসনের সহজ সমাধান
পশ্চিম মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অনীক মাহাতো। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়পল্লির রাস্তায় দরকারি কাগজপত্র-সহ টাকা ভর্তি একটি মানিপার্স কুড়িয়ে পায় অনীক। মানি পার্সে দরকারি কাগজপত্র এবং টাকা আছে জেনে বাড়িতে নিয়ে আসে সে। ঘরে গিয়ে সে দেখে ওই মানিপার্সে আছে ৫০০ টাকার একাধিক নোট।
সঙ্গে আধার কার্ড, প্যানকার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড-সহ জরুরি কাগজপত্র রয়েছে। তারপর সে জানায় তার মা-বাবাকে। পরবর্তীতে উপযুক্ত প্রমাণ সহ মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার পার্স। অনীক মেদিনীপুর শহরের সারদা বিদ্যামন্দিরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর বাবা কৃপাসিন্ধু মাহাতো এক জন কৃষক এবং মা প্রীতিলতা দেবসিংহ মাহাতো এক জন হোমগার্ড। উদয়পল্লিতে ভাড়াবাড়িতে থাকেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ক্র্যাশ করে গিয়েছিল, এসআইআর আবহে নতুন ওয়েবসাইট খুলল কমিশন! দেখতে পাবেন ২০০২-এর ভোটার তালিকাও
অনীকের বাবা মা জানিয়েছেন, বাড়িতে ফিরেই ওই কাগজপত্রগুলির মধ্যে কারও কোনও ফোন নম্বর আছে কী না তা দেখার জন্য অনীক তার মা-কে বলে। এর পরই সহকর্মী শিশির সার-এর সাহায্য নিয়ে প্রীতিলতা যোগাযোগ করেন মানিপার্সের মালিক, প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠরত সোমনাথ সারের সঙ্গে। তাঁর পরেই নিজের মানিপার্স ফেরত পেয়ে যান সোমনাথ।
সোমনাথ জানান, মানিমার্সে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার টাকার পাশাপাশি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মত গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো ছিল। অনীক জানিয়েছে, বাবা-মায়েরর শেখান আদর্শকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে সে। তার সততায় মুগ্ধ শিক্ষক ও সমাজকর্মী সুদীপকুমার খাঁড়া বলেন, ‘অনীকের মতো ছেলেরাই এই সমাজের গর্ব।’ স্বাভাবিকভাবে বিদ্যাসাগরের এই মেদিনীপুরে অপূর্ব এক মানবিক দৃষ্টান্ত নজর কেড়েছে সকলের।






