আরও পড়ুনঃ ১০ টাকায় পাঁচটা নয় আটটা ফুচকা! ৮ থেকে ৮০, বাদ যাচ্ছেন না কেউই! কোথায় জানেন?
জানা যায়, ১২৪৪ বঙ্গাব্দে উখরার জমিদার হান্ডা পরিবার এই ঝুলন যাত্রার সূচনা করেন। বেশ কয়েক বছর পর গোপালবাড়িতে চট্টোপাধ্যায় এবং রায় পরিবারের হাত ধরে আরও একটি ঝুলন যাত্রার সূচনা হয়। অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে এলাকার নিম্বাক সম্প্রদায় মহন্তস্থলে বৃন্দাবন জিউ মন্দিরে আরও একটি ঝুলন শুরু করেন। তবে উখরা এলাকায় প্রথম ঝুলন যাত্রার পত্তন হয়েছিল জমিদার হান্ডা পরিবারের হাত ধরে। আর তখন থেকেই শুরু হয়েছিল মেলা।
advertisement
শুরুর পর থেকে এখনও তিনটি ঝুলনই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলছে। উখড়ার মেলা আগে পরিচালনা করত জমিদার পরিবার। ওই পরিবারের সদস্য জনয়েছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষ বক্তার সিংহ হান্ডার মেয়ে বিষেণ কুমারীর বিয়ে হয় বর্ধমানের মহারাজার সঙ্গে। সেই সূত্রেই তাঁরা উখড়ায় জমিদারির স্বত্ব পান। বর্ধমানে রাজবাড়িতে তখন মানব-ঝুলন হত। তাতে আকৃষ্ট হয়েই বক্তার সিংহের ছেলে শম্ভুলাল সিংহ হান্ডা উখড়ায় তাঁদের গোপীনাথ জিউ মন্দিরে ঝুলন শুরু করেন। সে বছর থেকেই মেলা শুরু।
যদিও বর্তমান ঝুলন মেলার স্থান পরিবর্তন হয়েছে। আগে গ্রামের ভিতরেই হত মেলা। কিন্তু গ্রামে জায়গা কম হওয়ায় মেলার জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই মেলায় বেশ কয়েকটি সার্কাস দলও আসতো। সারা রাত ধরে মেলা চলত। তবে মেলার জাঁকজমক এখন অনেকটাই কমেছে। কিন্তু ঐতিহ্যে কোনওরকম ভাটা পড়েনি। অন্যদিকে আগে জমিদার বাড়ির ঝুলনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি লীলা মডেলের মাধ্যমে দেখানো হত। কিন্তু সেই নিয়মে ভাটা পড়েছে এখন। তা সত্ত্বেও ঐতিহ্যের ঝুলন পালিত হয়ে আসছে আগের মতই।
Nayan Ghosh