কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র অনুযায়ী, বিগত দুই থেকে নয় বছরে গোটা দেশে এই অটিজম আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে গোটা দেশে ১.৫% শিশু এই অটিজমে আক্রান্ত। রাজ্যে এই মুহূর্তে ১৭৬ জন শিশু এই অটিজমের শিকার।
আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার হলেই কি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? সুগার কত হলে প্রিডায়াবেটিক বলা যায়? জানুন ডাক্তারের মতামত
advertisement
মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা অনেকক্ষেত্রে মানসিক ভাবে অনেকটা সুস্থতা দিতে পারে এই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের। তাদের কথা মাথায় রেখেই নদিয়ার কল্যাণীর সগুনাতে মাতৃ মিশন ও মন্দির সেবা ট্রাস্ট ১৫ কাটা জমির উপর এই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্যে আবাসন তৈরি করছে।
যেখানে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্নসন্তানদের নিয়ে থাকতে পারবেন তাদের অভিভাবকেরা। প্রাথমিকভাবে ২৪ টি আবাসন থাকবে, এছাড়াও থাকবে এই শিশুদের জন্যে জিম, সুইমিং পুল, স্পেশ্যাল স্কুলের পাশাপাশি আইসিইউ এর সুবিধা সম্পন্ন হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: সুগারের রোগীরা কি মুড়ি খেতে পারেন? ডায়েটে কী কী রাখা চলবেই না? রইল ডাক্তারের পরামর্শ, জেনে নিন
মাতৃ মিশন ও মন্দির সেবা ট্রাষ্ট্রের অধ্যক্ষ স্বামী সর্বেশ্বরানন্দ পুরি জানান, “আমরা আসলে পাথর বা মাটির ঠাকুরকে পুজো করে ঈশ্বর লাভ করতে চাই। কিন্ত এই যে শিশুগুলো তারাই তো আসল ঈশ্বর। আসলে তাদের অবর্তমানে এই তাদের সন্তানদের কী হবে তা নিয়ে রীতিমতো অবসাদে ভোগেন এই সমস্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানদের অভিভাবকেরা। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। অভিভাবকরা না থাকলেও আগামীদিনে এই শিশুদের দায়িত্ব আমাদের মিশনের।”
Mainak Debnath