আরও পড়ুনঃ দুয়ারে মিলবে সরকারি প্রকল্প গুলির সুবিধা, কবে আপনি পরিষেবা পাবেন? জেনে নিন এক্ষুনি
জেলার নির্বাচিত কয়েকটি স্কুলকে ওয়াল পেইন্টিং-এর মাধ্যমে জীব বৈচিত্র্য রক্ষার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ পদ্ধতি। এরকমই একটি প্রোজেক্ট পেয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুল (উ:মা)। সম্প্রতি ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুলের সার্ধশতবর্ষের সূচনা লগ্নের অনুষ্ঠান চলাকালীন স্কুলের ৭৫ ফুটের বেশি চওড়া দেওয়ালটি সাদা রঙ করে জীববৈচিত্র্য রক্ষা, লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী রক্ষা, জলাভূমি সংরক্ষণ একাধিক সচেতনতামূলক ছবি ও স্লোগানে বর্ণময় হয়ে উঠেছে। অসামান্য সব চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে সাদা দেওয়ালটি। যেটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে খুদে শিক্ষার্থী থেকে এলাকার প্রান্তিক মানুষ।
advertisement
স্কুলের দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে–মেছোবিড়াল(ফিশিং ক্যাট), গঙ্গা শুশুক,লক্ষ্মী পেঁচা, শকুন,প্যাঙ্গলিন, ভোঁদড় প্রভৃতি লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীদের। ছবিগুলি অঙ্কন করেছেন স্থানীয় এক চিত্রশিল্পী। তিনদিন ব্যাপী চলা সার্ধশত বার্ষিকী সূচনা উৎসবের শেষদিনে বিদ্যালয়ের দেওয়াল চিত্র পরিদর্শন করেন পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের হাওড়া জেলার কোঅর্ডিনেটর প্রণব সামন্ত। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দাস– জীব বৈচিত্র পর্ষদ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবেশ দফতরের সহযোগিতায় এই দেওয়াল চিত্রগুলি অংকন করে জনমানসে জীব বৈচিত্র্য রক্ষার বার্তা দিতে চেয়েছি। অনেক মানুষ এগুলি দেখতে আসছেন। শিশুদের মনোগ্রাহী হয়েছে ছবি গুলি। ব্রাহ্মণপাড়া হাইস্কুল এর শিক্ষক ও পরিবেশ কর্মী সৌরভ দত্ত বলেন – প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষ লুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলোকে চেনে না। তাই পরিবেশে বন্যপ্রাণীদের গুরুত্ব না বুঝেই নিরীহগুলোকে হত্যা করে। আমরা সেজন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে (মেছো বিড়াল)ফিশিং ক্যাট,শকুন,প্যাঙ্গলিন, গঙ্গা শুশুক, ভোঁদড় প্রভৃতি একাধিক প্রাণীর চিত্র অঙ্কন করিয়েছি। এই প্রাণীগুলি সংরক্ষণ এর দায়িত্ব আমাদের সবার।এছাড়া রয়েছে বাস্তুতন্ত্র ও জলাভূমি রক্ষার দাবি।
আরও পড়ুনঃ ৭দিনে মারকাটারি ফিগার! জলে মেশান এক চিমটে ‘এই’ মশলা! আর টাটা বলুন থলথলে মেদকে
এ প্রসঙ্গে জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের হাওড়া জেলার কো-অর্ডিনেট প্রণব সামন্ত জানান, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে বন দফতরের পক্ষ থেকে নানাভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গুরুত্ব দিয়ে এই নতুন প্রজন্ম ও প্রান্তিক গ্রামের মানুষের কাছে সচেতনতার গুরুত্ব দিয়ে গ্রামের এই স্কুলে প্রচার অভিযান।
রাকেশ মাইতি





