এমনই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় আদি সপ্তগ্রাম ঠাকুরবাড়ি অঞ্চলের প্রধানদের বাড়িতে। বাড়ির বয়স আড়াইশো পেরিয়েছে, বহু পুরাতন বাড়ির মধ্যে এখন হয়েছে সাপেদের আখড়া। দুই দিনের মধ্যে দুইটি বিষধর গোখরা হয়েছে একই বাড়ি থেকে। অনুমান আরও সাপ থাকতে পারে। বাড়িটি ভগ্নপ্রায় ছাদটা মেঝে থেকে বাঁশ দিয়ে কোনও ভাবে ঠেকানো। বর্ষায় জল পড়ে ঘরে।
advertisement
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের আওয়াজ, ধুয়ে দিল ভারত! দিল্লির চাপেই সুর নরম ঢাকার, চমকে দিল চার দিন
বাড়ির ছেলে অমিত প্রধান খুবই সামান্য রোজগারে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর মা রূপা প্রধান অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকার কাজ করেন। আবাস যোজনার বাড়ির জন্য চেষ্টা করেছেন কিন্তু পাননি। তাঁদের আশঙ্কা যে বাড়িতে থাকেন, সেটি যে কোনও দিন ভেঙে পরতে পারে। পুরনো বাড়ি হওয়ায় অনেক ফাঁক ফোঁকর গর্ত রয়েছে। সেখানে সাপ দেখা যায় মাঝে-মধ্যে। গত দু’দিনে দুটি বড় মাপের বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: আপনার সন্তানকে KVS-এ ভর্তি করতে চান? কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
গতকাল রাতে পাখায় সাপ ঝুলতে দেখে সাপ উদ্ধারকারী চন্দন ক্লেমেন্ট সিংকে খবর দেওয়া হয়। চন্দন যেতেই সাপ পাখা থেকে ছাদের সিলিংয়ের ফাঁকে ঢুকে যায়। ছেনি দিয়ে দেওয়াল কেটে সাপ টেনে বের করেন চন্দন। চন্দন বলেন, ‘এই ধরনের পুরনো বাড়িতে আরও সাপ থাকতে পারে। এই গোখরো সাপ খুবই বিষধর। তাই বাড়িতে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ।’ সাপ উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রাহী হালদার