পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, কাটোয়া-সহ আরও বেশ কিছু ব্লকে এরকম মুরগি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এভাবে মুরগিদের মৃত্যু হচ্ছে সেই কারণ ব্যবসায়ীদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে এই মুরগি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটা কোনওভাবেই বার্ড ফ্লুর ঘটনা নয়। অন্যান্য বিভিন্ন কারণে মুরগি মারা যেতে পারে।
advertisement
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাথায় হাত পড়েছে পোলট্রি ব্যবসায়ীদের। এই প্রসঙ্গে এক পোলট্রি ব্যবসায়ী বলেন, প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। আমাদের লাভ তো হবেই না। কী করে সংসার চালাব সেটাই বুঝতে পারছি না। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রাম, মঙ্গলকোটের কল্যাণপুর, কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙ্গা-সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পোলট্রি ব্যবসায়ীরা রয়েছেন।
সকলেই জানিয়েছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকের খামারেই গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মুরগি মারা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ছোট মুরগি থেকে বড় মুরগি সবই আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথমে ঝিমুনির মতো অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তারপরই ধীরে ধীরে মুরগি মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আপনার সন্তানকে KVS-এ ভর্তি করতে চান? কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
এমতাবস্থায় কোনও চিকিৎসা কাজে আসছে না। এদিকে, জেলার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এখন কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে পোলট্রি মুরগি চাষ করেন। সেক্ষেত্রেও তাদের নিজেদের খাটুনি, লেবার চার্জ এবং তুষের জন্য বড় অঙ্কের খরচ সবটাই লোকসান হচ্ছে। এই বিষয়ে আর এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ করেই মুরগি মারা যাচ্ছে, কিছু বুঝতেই পারছি না। যে মুরগিগুলি মরে যাচ্ছে সেগুলো মাটিতে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দিচ্ছি।
বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ড: পার্থ সরকারের কথায়, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু’র ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তন, আলোর কমবেশি বা সঠিক ওষুধ বা পরিচর্যার অভাবেও মুরগি মারা যেতে পারে। সঠিক ভাবে পরীক্ষা না করে নির্দিষ্ট বিষয়ে বলা সম্ভব নয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী