উপস্থিত একাধিক ছাত্র-ছাত্রী। উপস্থিত জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে কোনও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতিতে নিজেদের কীভাবে মোকাবিলা করবেন পড়ুয়ারা, তারই মহড়া হয়েছে এ দিন।
আরও পড়ুন: বাড়ছে গরম, দক্ষিণের ২ জেলায় ‘হট ডে’! উইকেন্ডে একলাফে বাড়বে ৪ ডিগ্রি, কোথায়? আবহাওয়ার বড় আপডেট
ঘাটাল এবং বন্যা পারস্পরিক সমার্থক। কখনও বছরে একবার কখনও আবার একাধিকবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। ভেসে যায় ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পড়ুয়াদের পড়াশোনার সামগ্রী। স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের, বন্যা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং বন্যা পরিস্থিতিতে নিজেদের মোকাবিলার জন্য তাদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিল এনডিআরএফ ব্যাটেলিয়াদের সদস্যরা। স্কুল পড়ুয়াদের বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দিল NDRF বাহিনী।
advertisement
আরও পড়ুন: এঁচোড় অপূর্ব খেতে-উপকারীও, কিন্তু ভুলেও কারা ছোঁবেন না? বড় ক্ষতির আগে অবশ্যই জানুন
ফি বছর বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে ঘাটাল মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা, বন্যার জলে ডুবে যায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি। চরম সমস্যায় পড়ে ঘাটালের মানুষজন। প্রবল বন্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সামগ্রীর পাশাপাশি বাড়ির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ভেসে যায়। কখনও আবার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে কিংবা বাড়ির বয়স্কদের সে সমস্যা দেখা দেয়।
এবার সেই বন্যা প্রবন ঘাটালের মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের পড়ুয়াদের বন্যা, ঝড়-সহ বিভিন্ন দুর্যোগে আত্মরক্ষার কৌশলের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর ব্যাপারে সচেতনতা এরং বন্যার সম্ভাবনা বুঝে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছনোর জন্য কী কী আগাম সতর্কতা নেওয়া দরকার তার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এদিন ঝুমি নদীতে স্পিড বোট নামিয়ে মহড়ার মাধ্যমে তুলে ধরছেন NDRF কর্মীরা। স্কুল পড়ুয়াদের বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দিল ডিসট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও NDRF বাহিনীর সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অফিসার মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, ২ নং ব্যাটেলিয়ান এনডিআরএফ আধিকারিক রাহুল সিং, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস-সহ মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক ভাবে সমাজের কাছে বন্যার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের কাছেও এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এমন প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা।
রঞ্জন চন্দ