২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল, মা সোনালী, ছেলে সাত্যকী ও সাত্যকীর এক বন্ধু—এই তিনজন রওনা দেন রক্সৌলের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে সীমান্ত পার করে পৌঁছান কাঠমাণ্ডু। পরদিন গাড়িতে করে যান সালেরি, সেখান থেকে সুরখে। সুরখে থেকে শুরু হয় মূল ট্রেক। আটদিন ধরে পাথুরে পথ আর হিমালয়ের শ্বাসরোধ করা ঠান্ডা পেরিয়ে তারা পৌঁছান এভারেস্ট বেসক্যাম্প। সেখান থেকে কালাপাথর অভিযান সম্পুর্ণ করে শুরু হয় নামা, যা শেষ হয় পাঁচদিনে। তবে এই অভিযান একদিনে শুরু হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শরীর থেকে তারিয়ে দেবে খারাপ কোলেস্টেরল! পাতে রাখুন কালো ‘৫’ খাবার! মুঠোয় থাকবে LDL / HDL
২০১৮ সালে মা-ছেলের প্রথম ট্রেক ছিল সান্দাকফু। ৩রা মে তারা হরিনাভীর বাড়িতে ফেরেন ৷ তারপর একে একে ২০১৯ সালে কেদারকণ্ঠ, ২০২০ সালে পঞ্চকেদার, ২০২১-এ পাঙ্গারচুলা, ২০২৩-এ ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স ও হেমকুণ্ড সাহিব, ২০২৪-এ অন্নপূর্ণা সার্কিট। এবার ২০২৫-এ এভারেস্ট বেসক্যাম্প।
সোনালী দেবী প্রমাণ করেছেন, বয়স কোনও বাধা নয় স্বপ্নপূরণের পথে। পাহাড়কে ভালোবাসলে, তাকে জয়ের সাহসও আসে নিজের মধ্যে থেকেই। আজও এভারেস্ট বেসক্যাম্পের অভিজ্ঞতা চোখে-মুখে নিয়ে তিনি তৈরি হচ্ছেন পরবর্তী অভিযানের জন্য।
সুমন সাহা