প্রথমে পাড়ে দাঁড়িয়ে কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তবে সময় যত গড়ায় ভিড় বাড়তে থাকে গঙ্গার একাধিক ঘাটে। হুগলির শেওড়াফুলি ফেরি ঘাট সংলগ্ন আদ্যি ঘাট, কালিবাড়ির ঘাট-সহ পাশ্বর্বতী ঘাটেও ভিড় তখন উপচে পড়ছে। আসলে, হঠাৎ করেই গঙ্গার ঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে গলদা চিংড়ি হাজির (Bangla News)। আর তা ধরতেই এমন হুড়োহুড়ি। কেউ পলিথিনে, কেউ ব্যাগে, কেউ আবার সিমেন্ট-এর বস্তা নিয়েই এসেছেন গলদা ধরতে। যতটা সম্ভব চিংড়ি ধরে ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্যাংরায় অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত ৪ সদস্যের হাই-পাওয়ার কমিটি
যথেষ্ট বড়বড় আকারের এই চিংড়িগুলি। বাজারে যার দাম কিলো প্রতি ৪০০ টাকার বেশি। সেই গলদা চিংড়ি হাজির গঙ্গার ঘাটে ঘাটে, তাও আবার ঝাঁকে ঝাঁকে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে গলদা চিংড়ি ধরার পর্ব। কেউ ২ কেজি, কেউ ৪ কেজি, কেউ আবার ৭ থেকে ৮ কেজিও ধরেছেন। লম্বা দাঁড়ার গলদা চিংড়ি যে যতটা পেরেছেন নিয়েছেন। যাঁরা পাননি তাঁরা পাড়ে দাঁড়িয়ে আফসোস করলেন। তবে যারা ধরতে পারলেন তাঁদের মুখে পরিতৃপ্তির হাসি তখন।
আরও পড়ুন: লাইফলাইনে 'ক্ষয়' রোগ! বিপদ এড়াতে নতুন চাকা পাচ্ছে কলকাতা মেট্রো
শনিবার সন্ধ্যায় জমজমাট গলদা চিংড়ি পর্ব শেওড়াফুলিতে। এর আগে একবার কচ্ছপ, আবার অন্য মাছও পাওয়া গিয়েছিল এই ঘাটে। তাও প্রচুর পরিমাণে বলছেন স্থানীয়রা। জোয়ার আসার পর অবশেষে সাঙ্গ হল গলদা চিংড়ি ধরার পালা। মা গঙ্গাকে প্রণাম জানিয়ে ব্যাগ ভর্তি গলদা চিংড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন শেওড়াফুলির চিংড়ি-রসিকেরা।
রানা কর্মকার