ঠিক যেন ‘টাইম ম্যান’! ছোটবেলাতেই হারিয়েছিলেন চোখের দৃষ্টি। চারপাশটা তাঁর কাছে নিকষ কালো অন্ধকার কিন্তু সেই অন্ধকারেই তিনি রপ্ত করেছেন এই অদ্ভুত ক্ষমতা। তাঁর এই ঘড়ি ছাড়াই সময় বলে দেওয়ার প্রতিভা নজর কেরেছে সকলের।
এক হাতে সম্বল বলতে একটি লাঠি, আর অন্য হাতে যেন ধরা সময়ের অদৃশ্য সুতো। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বাসিন্দা ভোলা বাগ্দী। ছোট বেলায় একটি দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন দুটি চোখের দৃষ্টিশক্তি। সকাল থেকে একটি লাঠি নিয়ে বেড়িয়ে যান লোকের দুয়ারে দুয়ারে দুমুঠো খাবারের সন্ধানে। কখনও ভাতারের অলিগলিতে, কখনও আবার পার্শ্ববর্তী গ্রাম বা হাট-বাজারে ঘুরে বেড়ান তিনি। ভোলার দৃষ্টি শক্তি না থাকলেও রপ্ত করেছেন এক অদ্ভুত ক্ষমতা।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতে বাঁকুড়ার ‘দার্জিলিং’ বেড়াতে যাবেন? কোলাহল থেকে ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন, আমেজ থাকবে গোটা বছর
কেউ তাঁকে সময় জিজ্ঞেস করলেই কোনও ঘড়ি ছাড়াই অনায়াসে সময় বলে দিতে পারেন তিনি। প্রাচীনকালে মানুষ সূর্য, চাঁদ বা তারার অবস্থান দেখে সময় নির্ণয় করত। বিজ্ঞানের অগ্রগতির আগে ছায়া ঘড়ির ব্যবহার ছিল জনপ্রিয়। কিন্তু ভোলার ক্ষেত্রে সেই যুক্তিও খাটে না। কারণ তিনি তো দৃষ্টিহীন!
চোখের আলো না থাকলেও তাঁর অন্তর্দৃষ্টি যেন এক অদৃশ্য ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর এই প্রতিভা নজর কেরেছে সকলের, এলাকায় হয়ে উঠেছেন ‘ঘড়ি ছাড়া টাইম ম্যান’। ভাতারের এই ‘টাইম ম্যানে’র বিস্ময়কর প্রতিভা এখন লোকমুখে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু ভোলার দিন কাটে অভাব অনটনেই ভাতার বিডিও অফিস থেকে মাঝে মাঝে ১২ কেজি করে চাল দেওয়া হয় হলেও, সরকারি ভাতা বা সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন তিনি।





