আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ইনকাম ট্যাক্স বিভাগে বিভিন্ন পদে নিয়গ চলছে! আজই আবেদন করুন
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ মোট চারটি ধারায় মামলা হয়েছে (Bangla News)। সুতাহাটার থানার ওসি বিনয় মান্না বলেন, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলবেন। সুতাহাটের বাসিন্দা দেবাশিস প্রামাণিকের দাবি, তিনি হলদিয়ার একটি প্রাইভেট সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। সেখানকার এক সহকর্মীর মাধ্যমে তমলুকে নারায়ণপুর এলাকার ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়। দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবতী প্রায়ই সুতাহাটা যেতেন বলেও দাবি দেবাশিসের। এমনকী ওই যুবতী নিজেকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মী বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগকারীর দাবি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৩ সালে অগস্ট মাসে দেবাশিস প্রেমিকার একটি এন্ড্রয়েড ফোনের আবদার মেটান। তারপর পুজোর সময় দামী জামাকাপড় কেনার শখও পূরণ করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বারবার কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট?', কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
দেবাশিস বলেন, 'ওই যুবতীর বাবা-মা তাঁদের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই সুবাদে আমিও প্রেমিকার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতাম। ২০১৮ সালে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকা সোনার হার এবং সোনার আংটি বায়না করেছিলেন। সেই বায়না মিটিয়েছি। এরপর প্রেমিকা তাঁর বাবার জন্য একটি আংটির আবদার করেন। আমি ধার দেনা করেছি, ইচ্ছাও পূরণ করেছি। আমার ইচ্ছে ছিল বিয়ের পর স্থির মাইনের অর্থ দিয়ে ঋণ মিটিয়ে দেব। আমার উদার মনোভাব দেখে ওদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছিল। একটা সময় ফ্রিজের কথা জানায়। আমি প্রথমে রাজি না হলেও ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে বিয়ে চূড়ান্ত বলে সেই ফ্রিজও হাতিয়েছিল। কিস্তিতে ফ্রিজ কিনে দিতে বাধ্য হই। এখন কিস্তি মিটিয়ে যাচ্ছি। ৫ জানুয়ারি মহিষাদল থানার কেশবপুর গ্রামে আমার দিদির বাড়িতে প্রেমিকার আইবুড়ো ভাতের অনুষ্ঠান হয়। সেই ছবিও আছে। ৬ জনুয়ারি বিয়ের খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। বিয়ের খরচ বাবদ ওই অর্থ পরে মিটিয়ে দেওয়ার কথা দিয়েছিল। ১১ জানুয়ারি বিয়ের কিছু কথাবার্তা বলতে প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে দেখি, দরজা বন্ধ। তমলুক শহরে হাসপাতাল মোড়ে জেলা পরিষদ স্টলে ওদের দোকান ঘর আছে। সেই দোকানে গিয়ে দেখি, সেখানেও সাটার নামানো। টানা ১০ বছর প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে নিজেই ঋণের জর্জরিত হয়ে পড়েছি।'
অভিযুক্ত যুবতীর মা বলেন, 'ওই যুবক একদম বাজে ছেলে। আমাদের মেয়েকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করতে চাইছিল। আমরা জেনে ফেলার পর বিয়েতে রাজি হয়নি। এখন ওই যুবক থানা পুলিশ করছে। আইনের পথেই বিচার হবে।'