স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাফুজার একমাত্র মেয়ে রুবির সঙ্গে বিয়ে হয় ময়ূরেশ্বরের কাশেম শেখের। তাদের দুই ছেলে মেয়ে বর্তমান। মাফুজার স্বামী মারা যাওয়ার পর রুবি মায়ের সঙ্গেই বাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, কাশেম শেখ কোনও কাজ করতেন না। এমনকী, মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে হামেশাই ঝামেলা করতেন। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের প্রেমে পড়লেন রাখি সাওয়ান্ত, এবার ৬ বছরের ছোট আদিলের সঙ্গে!
অন্যদিকে, এই অশান্তির কারণে গত তিন মাস আগে রুবির সঙ্গে আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ হয় কাশেমের। এরপর মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় কাশেম নানুরের মড্ডা গ্রামে আসে। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুবিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে কাশেম। সেই সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সেও আহত হয়। তাঁর চিৎকার শুনে মাফুজা ছুটে এলে তাদেরকে ছেড়ে কাশেম আক্রমণ করে শাশুড়িকে। সেখানেই গুরুতর অবস্থায় আহত হন মাফুজা এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
আরও পড়ুন: আমের পর এবার লিচু, মালদহের 'বোম্বাই' চলল বিদেশ!
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুবি জানান, "মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় কাশেম বাড়িতে ঝামেলা করতে এলে আমরা দরজা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করি। কাশেম এলোপাথাড়ি ছুরি চালায়। সেই সময় মা আমাদের বাঁচাতে এলে সামনে পড়ে যান এবং ছুরির কোপে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মায়ের।"
মাধব দাস