শুধু কবিতার পংক্তিতে নয়, বাস্তবেই এ পৃথিবীকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে তুলতে চেয়েছেন প্রসেনজিৎ ওরফে জোজো। দুচাকার সাইকেল নিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন দেশের ১৯টি রাজ্যে,৬ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। কন্যা কুমারী থেকে কাশ্মীর, আহমেদাবাদ থেকে উড়িষ্যা, ভাষা সংস্কৃতির বেড়া ভেঙে তিনি মানুষকে ভাবতে শিখিয়েছেন রক্ত দানের উপকারিতা নিয়ে। দিয়েছেন পরিবেশ রক্ষার পাঠ। গোটা দেশ কে নতুন করে জানা, পরিবেশ রক্ষার জন্য বার্তা দিতেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন গোটা দেশ ভ্রমণে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪০ জন পড়ুয়া নিয়ে 'উধাও' সল্টলেকের স্কুলের ৩টি বাস! তোলপাড় শহর, শেষমেশ যা হল...
প্রথমে বীরভূম জেলা হয়ে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ, জম্মুও কাশ্মীর, পাঞ্জাব আবার হরিয়ানা হয়ে দিল্লি, দিল্লি থেকে হরিয়ানা হয়ে রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, পুডুচেরি, আবার তামিলনাড়ু হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক হয়ে মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ওড়িশা হয়ে আবার বাংলার মাটিতে ফেরা। অতিক্রম করেছেন ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ। ২২৬ দিন পর ফিরলেন নিজের গ্রামে। একটি সাইকেল, তাতেই সব কিছু নিয়ে গোটা দেশ ভ্রমণ করে ফিরলেন জোজো। যদিও এই ১৬হাজার কিমি পথ অতিক্রম করা সহজ হলেও কঠিন ছিল অনেক।
আরও পড়ুন: আর নয় 'গোপন কম্মোটি', মনের মানুষকে এবার সবার সামনে এনেই ফেললেন ঋতাভরী চক্রবর্তী!
জোজোর কথায়, রাজস্থান থেকে যোধপুর যাওয়ার পথে বারো কিলোমিটার জঙ্গল অতিক্রম করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট লাগে। অন্যদিকে, সাইকেলের পিছন চাকা পাংচার হয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে পাংচার ঠিক করেই উদয়পুর পৌঁছে শরীর কে সুস্থ করেন। শুধু তাই নয়, উত্তর প্রদেশে প্রবল তাপ প্রবাহ, সেই তাপ প্রবাহেরজেরেও সমস্যা হয়েছিল। সেসব উপেক্ষা করেই তিনি সেরে ফেলেন তাঁর দেশ ভ্রমণ।
কৌশিক অধিকারী
