প্রসঙ্গত সম্প্রতি, কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসরো নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি জানিয়েছে, আগামী দু’বছরের জন্য ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন ভি. নারায়ণন। তবে চেনেন এনাকে? জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারীর প্রত্যন্ত কৃষক পরিবারের জন্ম নারায়ণনের। ভি নারায়ণন এর আগে লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের (LPSC) প্রধান পদে ছিলেন। দেশের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। আইআইটি খড়গপুর সূত্রে খবর, ১৯৮৯ সালে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে এম. টেক প্রথম স্থান নিয়ে পাশ করেন তিনি। এবং যোগ দেন লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারে।
advertisement
পরে ২০০১ সালে আইআইটি খড়্গপুর থেকে এরো স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি করেন। খড়গপুর আইআইটি থেকে এম.টেক এ প্রথম স্থানের জন্য রৌপ্য পদক, অ্যাস্ট্রোনটিকাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া থেকে স্বর্ণপদক, রকেট এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির জন্য এএসআই অ্যাওয়ার্ড, হাই এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস্ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া থেকে টিম অ্যাওয়ার্ড, এবং ইসরো থেকে টিম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়গপুর তাঁকে দিয়েছে ডিসটিংগুইস এলুমনাস অ্যাওয়ার্ড ২০১৮। পাশাপাশি ৬৯ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পেয়েছেন লাইফ ফেলো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।
দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি উন্নতিতে ভি নারায়ণনের ভূমিকা অপরিসীম।তিনি পরবর্তী ২০ বছরের (২০২৭-২০৩৭ ) জন্য ISRO-এর প্রপালশন রোড ম্যাপও চূড়ান্ত করেছেন। এলপিএসসি-এর পরিচালক হিসাবে, গত ৫ বছরে, তিনি ৪১টি উৎক্ষেপণ যান এবং ৩১টি মহাকাশযান মিশনের জন্য ১৬৪টি লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সরবরাহ করেছেন। স্বাভাবিকভাবে তারেই উন্নতিতে গর্বিত প্রাক্তন এই প্রতিষ্ঠান। খুশির হাওয়া আইআইটি খড়গপুরে।
রঞ্জন চন্দ