মৃতার নাম লক্ষ্মী হাঁসদা। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। তার নাম সোম হাঁসদা। আট বছর আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়ানদিঘি থানার জিয়ারা গ্রামের লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সোমের।
আরও পড়ুন: আপনি কি মাছের কাঁটা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন? জানেন এটি শরীরে গেলে কী হয়? জানুন চিকিৎসকের মত
তাদের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আউশগ্রাম থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মদ খেয়ে আসে সোম। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। নেশার ঘোরে দুই শিশুকন্যার সামনেই লক্ষ্মীর মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে সোম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মীর।
advertisement
এরপর ঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে সেখানে লক্ষ্মীর দেহ পুঁতে দেয় সোম। এরপর সকালে দুই মেয়েকে ঘর থেকে বরে করে দিয়ে ঘর তালাবন্ধ করে সে চম্পট দেয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘরের মেঝে খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে গ্রামেরই এক প্রান্ত থেকে সোমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: পিঠ থেকে বেরিয়েছে ৩ ইঞ্চি লম্বা ছুরি, আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার ‘ছোটে নবাব’-এর! তারপর?
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে, ইদানিং মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়তো সোম। মঙ্গলবার রাতে তেমনই বচসা শুরু হয়। নেশার ঘোরে শাবল দিয়ে স্ত্রী লক্ষ্মীর মাথায় আঘাত করে সে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অচৈতণ্য হয়ে পড়ে লক্ষ্মী। এরপর ঘরের এক কোণের মেঝে খুঁড়ে ফেলে সোম। তারপর সেই গর্তে লক্ষ্মীর অচৈতণ্য দেহ ফেলে তার উপর কাপড় চাপা দিয়ে মাটি ভরাট করে দেয়। সারারাত সেই ঘরেই কাটায় সে।
পরদিন সকালে দুই মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘর তালাবন্ধ করে দেয় সে। রটিয়ে দেয় লক্ষ্মী ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু তার পাঁচ বছরের বড় মেয়ে আত্মীয় পরিজনদের জানিয়ে দেয়, মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখেছে বাবা। একথা শুনেই এলাকার বাসিন্দারা আউশগ্রাম থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা খুলে মেঝে খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় সোম হাঁসদাকে।
