অনেকের এখনও ধান কাটা বাকি ছিল। অনেকে ধান কেটে জমিতে ফেলে রেখেছিলেন। অনেকে ধানগাছ গাদা করে রেখেছিলেন। সেসব ধানই নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষকরা বলছেন, বাদামি শোষক পোকার আক্রমণের পর টানা বর্ষণ সব শেষ করে দিল। এবার ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। তবুও কিছু ধান পাওয়া যেত। কিন্তু এই বৃষ্টির পর সেই আশাটুকুও রইলো না। বৃষ্টিতে ভেজা এই ধানে কল বেরিয়ে যাবে। এর আর দাম পাওয়া যাবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট আশঙ্কা অশোকনগরে! ভয়ে কাঁপছেন যশোর রোডের পাশের মানুষজন! কেন?
বর্ধমানের রায়না খন্ডঘোষে ব্যাপকভাবে সুগন্ধী খাস ধানের চাষ হয়। সেই চাল গোবিন্দভোগ নামেও পরিচিত। এই চাল এ রাজ্যের তো বটেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিরও চাহিদা মেটায়। বিদেশেও এই সুগন্ধী ধানের ব্যাপক চাহিদা। এখানে সেই ধান এখন পুরোপুরি নষ্টের মুখে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার প্রভাব? পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বড় নির্দেশ কোর্টের! ফের সেই জেল হেফাজত
চাষিরা জানিয়েছেন, খাস ধান কিছুটা দেরিতেই কাটা হয়। কালী পুজোর পর বৃষ্টির আর তেমন আশংকা থাকে না। ডিসেম্বরের শুরুতে ধান তোলার কাজ চলে। ধান ঝেড়ে তা গোলায় তোলা হয়। সেই কাজ চলাকালীণ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এলো।
তাঁরা বলছেন, শোষক পোকার আক্রমণ হলেও ধান কেটে খরচের কিছুটা উশুল করা যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি যে সর্বশান্ত করে দেবে তা ভাবনার মধ্যে ছিল না। অনেকেই ধার দেনা করে চাষ করেছিলেন। তাঁরা এখন কি করে এই লোকসান সামাল দেবেন তা ভেবে উঠতে পারছেন না। জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, অনেকেই ধান কেটে তা ঘরে তুলেছিলেন। তবে মাঠেও কিছু জমির ধান ছিল। এই বৃষ্টিতে সেই ধানের ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।