৬৬ বছরের মানিক দাস এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। কোর্ট চত্বরে মানুষ পছন্দ করেন মানিক বাবুর পাতার বাঁশির মূর্ছনা। যাত্রাপালায় হারমোনিয়াম বাজাতে গিয়ে, এক ব্যক্তির কাছে এই পাতার বাঁশি দেখতে পান মানিক দাস। তারপর থেকেই অনুশীলন শুরু করে দেন তিনি। মানিকবাবু জানিয়েছেন প্রথমে পাতায় ফুঁ দিতে দেখে বাড়ির লোকই তাকে পাগল ভাবা শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন পাতা থেকে সুর বেরিয়ে আসে। তারপর থেকেই পাতায় ফুঁ দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে বাজার গরম করে রেখেছেন মানিক দাস।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে কেন পিছনে চাল ছুড়ে আর তাকায় না কনে? কনকাঞ্জলির পিছনে রয়েছে বড় কারণ
পাতাটাতে একটু মোচড় দিয়ে ফুঁ দিলেই বেরিয়ে আসছে বাঁশির সুর। বাঁকুড়ার বাসিন্দা মানিক দাস ভাল আড় বাঁশিও বাজাতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পাতার বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। বীরভূম থেকে হরিণঘাটা, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মেলা এবং বাঁকুড়ার আনাচে-কানাচে শোনা যায় মানিক দাসের পাতার বাঁশির সুর। মানিক বাবুর বাঁশির সুর শুনতে কোর্ট চত্বরে ভিড় জমান মানুষ।
আরও পড়ুন: ক্যানসার-কৃমি-কোষ্ঠকাঠিন্যর যম, সাদা এই ফুলের বড়া স্বাদেও খাসা! আজই কিনে গরম গরম খান
সকাল সকাল কোর্ট চত্বরে চলে আসেন আখের রস বিক্রি করতে। তারপর চলে যান শহরের কিছু স্কুলের সামনে। পড়ন্ত বিকেলে আবার বাঁকুড়া শহরের গোপীনাথপুর অরবিন্দ পল্লীর বাড়িতে ফিরে আসেন ঠেলাগাড়ি নিয়ে। এরপর আর খুব একটা সময় বা ইচ্ছা থাকেনা অনুশীলন করার। তবুও নিজের এই শিল্পচর্চা বজায় রেখেছেন মানিক দাস। প্রতিদিন প্রায় দু’ঘণ্টা চলে বাঁশির অনুশীলন। ইচ্ছুক ব্যক্তিদের পাতার কিংবা আড় বাঁশি বাজানো শেখাতেও প্রস্তুত তিনি।
বাঁকুড়া জেলার আনাচে কানাচে কত না জানা প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে তার কোনও ইয়ত্তা নেই। আখের রস বিক্রেতা মানিক দাস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। শিল্পী বলেই পরিচিত তিনি। তার শিল্পচর্চাও বেশ মৌলিক। মানিক বাবু জানান এই পাতার বাঁশি সুর যতদিন তিনি রয়েছেন ততদিন শোনা যাবে বাঁকুড়ার বুকে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F