Wedding Bride Throws Rice: শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে কেন পিছনে চাল ছুড়ে আর তাকায় না কনে? কনকাঞ্জলির পিছনে রয়েছে বড় কারণ

Last Updated:
Wedding Bride Throws Rice: বিয়ের প্রতিটি আচার ও রীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে কোনও প্রদেশের বিয়েতে পালিত প্রতিটি আচারের কোনও না কোনও কারণ রয়েছে।
1/6
বছরের পর বছর ধরে পালন করে আসা রীতি, আচার আমরা মুখ বুজে মেনে নিই। পালন করতে হয় বলেই করে থাকি কিন্তু তার পিছনে ধর্মীয় বা সামাজিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করি না। হিন্দু ধর্ম মতে বিবাহে প্রতিটি আচার ও রীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে কোনও প্রদেশের, যে কোনও বর্ণের বিবাহের পালিত প্রতিটি আচারের কোনও না কোনও কারণ রয়েছে। আসলে প্রত্যেক সমাজের নিজ নিজ বিশ্বাস রয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে পালন করে আসা রীতি, আচার আমরা মুখ বুজে মেনে নিই। পালন করতে হয় বলেই করে থাকি কিন্তু তার পিছনে ধর্মীয় বা সামাজিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করি না। হিন্দু ধর্ম মতে বিবাহে প্রতিটি আচার ও রীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে কোনও প্রদেশের, যে কোনও বর্ণের বিবাহের পালিত প্রতিটি আচারের কোনও না কোনও কারণ রয়েছে। আসলে প্রত্যেক সমাজের নিজ নিজ বিশ্বাস রয়েছে।
advertisement
2/6
বাঙালি বিবাহ হোক বা মারাঠি, কন্যা পিতৃগৃহ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কনকাঞ্জলি দিয়ে যায়। শেষ বারের মতো তিন মুঠো চাল কনে বাপের বাড়ির দিকে পিছন ফিরে বা মায়ের আঁচলে ছুড়ে দিয়ে চলে যায়। আর পিছন ফিরে তাকায় না। কিন্তু কেন এই আচার পালন করা হয়? এই প্রথার পিছনে ঠিক কি ঐতিহ্য বা অনুভূতি কাজ করে? ওয়ার্ধার পণ্ডিত হেমন্ত শাস্ত্রী পাচখেড়ে জানালেন এই বিশেষ রীতির পিছনে থাকা আসল কারণ।
বাঙালি বিবাহ হোক বা মারাঠি, কন্যা পিতৃগৃহ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কনকাঞ্জলি দিয়ে যায়। শেষ বারের মতো তিন মুঠো চাল কনে বাপের বাড়ির দিকে পিছন ফিরে বা মায়ের আঁচলে ছুড়ে দিয়ে চলে যায়। আর পিছন ফিরে তাকায় না। কিন্তু কেন এই আচার পালন করা হয়? এই প্রথার পিছনে ঠিক কি ঐতিহ্য বা অনুভূতি কাজ করে? ওয়ার্ধার পণ্ডিত হেমন্ত শাস্ত্রী পাচখেড়ে জানালেন এই বিশেষ রীতির পিছনে থাকা আসল কারণ।
advertisement
3/6
বিবাহ অনেক বড় একটি অনুষ্ঠানে। কথায় বলে লাখ কথার পর বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানও একের পর এক চলতেই থাকে। সেই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শেষ করে, বর তার নব বিবাহিতা বধূকে নিয়ে নিজের বাড়ির দিকে পা বাড়ায়। একেবারে শেষ লগ্নে বাপের বাড়ির সকলের থেকে বিদায় নেওয়ার পর নববধূ দুই হাতে পাঁচ বা তিনবার চাল নিয়ে পিছন দিকে ছুড়ে দেয়। ছুড়ে দেওয়া সেই চাল আঁচল পেতে ধরে নেন কনের মা।
বিবাহ অনেক বড় একটি অনুষ্ঠানে। কথায় বলে লাখ কথার পর বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানও একের পর এক চলতেই থাকে। সেই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান শেষ করে, বর তার নব বিবাহিতা বধূকে নিয়ে নিজের বাড়ির দিকে পা বাড়ায়। একেবারে শেষ লগ্নে বাপের বাড়ির সকলের থেকে বিদায় নেওয়ার পর নববধূ দুই হাতে পাঁচ বা তিনবার চাল নিয়ে পিছন দিকে ছুড়ে দেয়। ছুড়ে দেওয়া সেই চাল আঁচল পেতে ধরে নেন কনের মা।
advertisement
4/6
বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয়, এই আচার পালন করলে কনে সুখী হবে। ধন-সম্পদের আশীর্বাদ পাবে। আসলে একটি কন্যা তাঁর পিতা মাতার ঘরের লক্ষ্মী। যখন সে অন্যের বাড়িতে চলে যাচ্ছে, তখন এই আচারের মাধ্যমে সে তার বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। বাঙালি মেয়েরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান পালন করেছেন, এই সময় তাঁরা মায়ের উদ্দেশে বলেন, তোমার ঋণ শোধ করে দিয়ে গেলাম। যুগ বদলেছে। কন্যারা বুঝতে শিখেছেন, এভাবে মুঠোভরা চাল ছুড়ে দিয়ে পিতা-মাতার ঋণ শোধ করা যায় না। তাই অনেকেই আজকাল এই রীতি পালন করতে অস্বীকার করেন।
বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয়, এই আচার পালন করলে কনে সুখী হবে। ধন-সম্পদের আশীর্বাদ পাবে। আসলে একটি কন্যা তাঁর পিতা মাতার ঘরের লক্ষ্মী। যখন সে অন্যের বাড়িতে চলে যাচ্ছে, তখন এই আচারের মাধ্যমে সে তার বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। বাঙালি মেয়েরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান পালন করেছেন, এই সময় তাঁরা মায়ের উদ্দেশে বলেন, তোমার ঋণ শোধ করে দিয়ে গেলাম। যুগ বদলেছে। কন্যারা বুঝতে শিখেছেন, এভাবে মুঠোভরা চাল ছুড়ে দিয়ে পিতা-মাতার ঋণ শোধ করা যায় না। তাই অনেকেই আজকাল এই রীতি পালন করতে অস্বীকার করেন।
advertisement
5/6
কিন্তু পণ্ডিত হেমন্ত শাস্ত্রী পাচখেড়ে বলেন, ঘরের লক্ষ্মী মেয়ে। তাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর সময় যদি সে এই আচারটি পালন করে তবে বাড়িতে কখনই খাবার এবং অর্থের অভাব হয় না। এমনই বিশ্বাস।
কিন্তু পণ্ডিত হেমন্ত শাস্ত্রী পাচখেড়ে বলেন, ঘরের লক্ষ্মী মেয়ে। তাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর সময় যদি সে এই আচারটি পালন করে তবে বাড়িতে কখনই খাবার এবং অর্থের অভাব হয় না। এমনই বিশ্বাস।
advertisement
6/6
নববধূ যখন ধান ছুঁড়ে ফেলে, তখন সে আশা করে যে ধন শস্যে সমৃদ্ধ হবে তাঁর পরিবার। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, এই আচারটি পিতামাতা এবং পরিবারকে ধন্যবাদ জানানোর একটি উপায়। পাচখেড়ে মহারাজ বলেন, শৈশব থেকে যা কিছু এই পরিবার তার জন্য করেছে তা মনে করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কনে এই রীতির মাধ্যমে।
নববধূ যখন ধান ছুঁড়ে ফেলে, তখন সে আশা করে যে ধন শস্যে সমৃদ্ধ হবে তাঁর পরিবার। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, এই আচারটি পিতামাতা এবং পরিবারকে ধন্যবাদ জানানোর একটি উপায়। পাচখেড়ে মহারাজ বলেন, শৈশব থেকে যা কিছু এই পরিবার তার জন্য করেছে তা মনে করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কনে এই রীতির মাধ্যমে।
advertisement
advertisement
advertisement