আড়াই বছরের মধ্যে এই ১৩টি চার্জিং স্টেশন তৈরি হয়ে যাবে। এই ই-ভেসেলগুলি চলবে ত্রিবেণী থেকে ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে। ৬টি জেলায় ৯টি ফেরিঘাটে এই বৈদ্যুতিক ভেসেল চলবে। এই সমস্ত লঞ্চগুলি হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ অন্যান্য জেলার বিভিন্ন ঘাটে যাত্রীদের পরিষেবা দেবে।
আরও পড়ুন: শীতের রাতে এক চিমটি এই গুঁড়ো দিয়ে দুধ খান, বাড়বে যৌনতা-দূর হবে ক্লান্তি! নিজেকে চিনতে পারবেন না
advertisement
আগেই কলকাতা ও সংলগ্ন বিভিন্ন ফেরিঘাটে ব্যাটারি চালিত ভেসেল নামানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল পরিবহণ দফতর। এবার জেলার বিভিন্ন ফেরিঘাটেও দূষণ রোধ ও জ্বালানি খরচ কমাতে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিক লঞ্চ চালানোর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।
একটি ই-ভেসেল ইতিমধ্যেই তৈরি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এরফলে যেমন জ্বালানি খরচ বাঁচবে, তেমনি দূষণ কমবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে আর্থিক সাহায্য নিয়ে এই ভেসেলগুলি প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কী করবে বাংলাদেশ? বিরাট দাবি ইউনূসের উপদেষ্টার
ভেসেল তৈরিতে খরচ পড়ছে প্রায় ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। এই লঞ্চ তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স। এর যাত্রী বহন ক্ষমতা হল ১৫০ জন। সাধারণত ১৫০ জন যাত্রী বহন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি লঞ্চ চালাতে গেলে এক ঘণ্টায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। সেই জায়গায় ব্যাটারি চালিত এই লঞ্চ দু ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা চলতে পারবে। এই সময়ে ৩০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে পারবে লঞ্চটি।
তবে অন্যান্য যে লঞ্চগুলি তৈরি করা হবে সেগুলির যাত্রী বহন ক্ষমতা থাকবে ৮০ থেকে ১০০ জন। সেগুলির চার্জও কিছুটা কম থাকবে। ইতিমধ্যেই ৯ টি ই-ভেসেলের নামকরণ হয়ে গিয়েছে,যার মধ্যে রয়েছে এমভি সংগীত, এমভি সরস্বতী, এমভি আত্রেয়ী, এমভি শীলাবতী, এমভি রঙ্গিত, এমভি সঙ্গী, এমভি চাকাচাকি।
নবাব মল্লিক