আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে কাঠের জিনিসে সাদা সাদা ছোপ? ফার্নিচার ভাল রাখতে এগুলো করুন, ছোট্ট কাজেই হবে কিস্তিমাত
চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের নানা সময়ে মনের জোর বাড়াতে, প্রেসক্রিপশন ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসক শ্রায়ণ ঘোষ তুলে ধরেন নিজের লড়াইয়ের কাহিনীও। বলেন, আমি যদি চারবার ওপেন হার্ট সার্জারির ধাক্কা সামলে বেঁচে থাকতে পারি, আপনি কেন পারবেন না! তাঁর এই গল্প যেন রোগীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয় সাহস ও আত্মবিশ্বাস। কথা বলে জানা যায়, ছাত্রজীবনেই তার ধরা পড়ে বিরল হৃদ্রোগ। ২০১২ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় শ্রায়ণের প্রথম হার্টের জটিল সমস্যা ধরা পড়ে। হয় প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি। তখন পরীক্ষার আর মাত্র দেড় মাস বাকি। অস্ত্রোপচারের পর ক্রাচে ভর দিয়েই পরীক্ষা দেন শ্রায়ণ। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। ২০১২ সালের পরে আরও তিনবার — ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে — তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। শারীরিক জটিলতা বাড়তে থাকার কারণেই বারবার এই জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে।
advertisement
তবুও চিকিৎসা ও পড়াশোনাকে পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন শ্রায়ণ। ২০১৩ সালে এমবিবিএসে সুযোগ পান। মাঝপথে ফের দুটি অস্ত্রোপচার সত্ত্বেও ২০১৮ সালে পাশ করেন। এরপর ২০২০ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমডি কোর্সে ভর্তি হন। এমডি পাশ করার পর ২০২৩ সালে আবারও বুক কেটে হয় অস্ত্রপচার। একজন চিকিৎসকের এমন জীবন যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে বহু মানুষের জীবনই শক্তি বাড়াতেই সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর জীবনীভিত্তিক বই ‘হৃদয়ে আজ ফুল ফুটুক’। চিকিৎসক শ্রায়ণ ঘোষের কথায়, তার জীবনের লড়াই যদি একজন রোগীকেও সাহস জোগাতে পারে, তা হলে তা-ই হবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। রোগীরাও যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন এই চিকিৎসকের কাছে আসলেই।
Rudra Narayan Roy