কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জয়দেবের মেলার পরিসর অনেকটাই ছোট করা হয়েছে। যে তুলনায় বাইরে থেকে আক্ষারা আসতো সেই তুলনায় এবছর আক্রা সংখ্যা অনেকটাই কম। জয়দেব মেলার মূল আকর্ষণ যদি হয়ে থাকে জয়দেবের মন্দির হয়ে থাকে তাহলে মনের মানুষ বাউল আখড়া আকর্ষণ ও কম নয়। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন বাউল গান শোনার জন্য মনের মানুষ আখড়াই এসে উপস্থিত হয় । কিন্তু এবছর করো না পরিস্থিতির জন্য জয়দেব মেলা থেকে বিরত থাকতে চলেছে মনের মানুষ বাউল আখড়া। তারা জানিয়েছে যেভাবে করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মানুষের জীবন সংশয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে আর তাই তারা এ বছর জয়দেব মেলায় কোনভাবেই অংশ নেবে না অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে মনের মানুষ আকরাম বন্ধ থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কোন দিনটা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়? জানুন ও সতর্কতা নিন
মনের মানুষ আখড়ার বাইরে পোষ্টার দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে কোন ভক্ত বা পর্যটক এসে যেন আখড়াখোলা জন্য বিনা করে। তবে অন্যান্য কীর্তন গানের আখড়া গুলিও থাকছে এ বছর। যদিও অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। প্রশাসনের কাছে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ কিভাবে জয়দেব মেলা কে গো বিধি মেনে মেলা করানো। কারণ মেলার মধ্যে অনেকেই হয়তো বা ছাড়াই ঘোরাঘুরি করবে তাদেরকে কিভাবে চিহ্নিত করন করা যায় সেই বিষয়টিও প্রশাসন মাথায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: 'ঘরে আছি মাস্ক কেন পড়ব?', ছাই মেখে যুক্তি গঙ্গাসাগরমুখী সাধুর, দেখুন
অন্যদিকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আনুমানিক ২০০০ পুলিশকর্মী সাদা পোশাকে পোশাকে নামানো হয়েছে তা ছাড়াও বসছে অগুনতি সিসি ক্যামেরা। আকাশে থাকবে ড্রনে নজরদারি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়দেব মেলার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। শুধু সময়ের অপেক্ষা এবার। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যান্য বছর জয়দেব মেলায় যে সরকারই বাউল মঞ্চ তৈরি করা হয় তা এবছর করো না পরিস্থিতির জন্য তৈরি করা হয়নি। শুধুমাত্র কীর্তন গানের বেশ কিছু আখড়া নিয়েই মেলা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।