যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল এটিএম-এ টাকা ভর্তি করার, তারাই টাকা ভর্তি করার বদলে সেখান থেকে অল্প অল্প করে টাকা সরাতে থাকে। এইভাবে মোট দেড় কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছিল হুগলির রিষাড়র বাসিন্দা চার যুবক। ওই চারজনের কাজ ছিল হুগলির কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন এটিএমে টাকা রিফিল করার। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আসলে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। ঘটনার তদন্তে নেমে চারজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ভোলবদল অনুব্রতর! সোমবার যা করলেন, তোলপাড় বাংলা
পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দননগর কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন এটিএম-এ টাকা ভরে যে এজেন্সি তারা গত ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগ ছিল, বেশ কিছুদিন ধরে এটিএম কিয়স্ক গুলোতে যে পরিমান টাকা রিফিল করার কথা ছিল তা করা হয়নি। এজেন্সির হয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে এটিএমে ভরার কাজ করত শ্রীরামপুরের এক যুবক। বিষয়টি নজরে আসে গত ২ তারিখ। পুলিশ তদন্তে নেমে শ্রীরামপুর ও রিষড়া থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: ‘…গলিল না সোনা’, আদালতে তোলপাড় ফেলে দিলেন পার্থ! অভিষেককে নিয়ে শোরগোল ফেলা মন্তব্য
ধৃতরা হল সন্তু দত্ত,সঞ্জিত সরকার ও সঞ্জিত পাত্র।ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জালগী জানান, তদন্তে নেমে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এজেন্সির তরফ থেকে মোট দেড় কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত এখনো অধরা রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ধৃত তিনজনকে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
—–রাহী হালদার