চাষের কাজের জন্য জমিতে কোদাল দিয়ে মাটি কোপাতে গিয়ে মাটির নীচে পুঁতে রাখা বোমা ফেটে গুরুতর জখম হলেন এক কৃষক। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ আউশগ্রাম থানার উক্তা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ওই কৃষকের হাতের কিছুটা অংশ উড়ে গেছে। শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাত লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
জখম ব্যক্তির নাম রঞ্জন মেটে (৫২)। তাঁর বাড়ি আউশগ্রাম থানার উক্তা গ্রামে৷ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ প্রথমে গুশকরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে সিআইডি বম্ব-স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের ডিএসপি(ডিএনটি) বীরেন্দ্র কুমার পাঠক সাংবাদিকদের বলেন, "মাঠে কাজ করার সময় বোমার আঘাতে এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বোমার ফেটে ওই ব্যক্তি জখম হয়েছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।"
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনা রুখতে চালু হল ট্রাফিক আউটপোস্ট! অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সাজছে এশিয়ান হাইওয়ে ২
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উক্ত অঞ্চলের সিলুট ও বেলুটি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় কুনুর নদীর ধারে একটি সাবমার্সিবল পাম্প ঘরের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। কোদাল চালিয়ে মাটি কোপানোর কাজ করছিলেন রঞ্জন মেটে নামে ওই ব্যক্তি। সেই সময়ই হটাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। তাঁর ডান হাতের কিছু অংশ উড়ে যায়। জখম হয়ে মাঠেই পড়ে ছিলেন তিনি। বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আউশগ্রাম থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছে রঞ্জন মেটে কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গুসকরা নিয়ে যায়।
আউশগ্রাম থানার কল্যানপুর গ্রামে আলুর জমিতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে গত মার্চ মাসে জখম হয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্র সহ তিনজন। তারপরে পিচকুরি গ্রামেও প্রচুর তাজা বোম উদ্ধার হয়েছিল। এবার উক্তা গ্রামে লুকনো বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে বোমা রেখেছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।