মৃৎশিল্পী শেখর পাল জানান, এ বছর বড় ঠাকুরের অর্ডার কার্যত নেই বললেই চলে। কারণ অঞ্চলের বেশিরভাগ পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার অনুদানের মধ্যেই বাজেট বেঁধে ফেলেছে। ফলে ৫০ হাজার টাকার বড় প্রতিমার চাহিদা একেবারেই কমে গিয়েছে।
advertisement
তিনি আরও জানান, প্রায় ২৫টি বড় ঠাকুর এখনও বিক্রি হয়নি। এর ফলে অন্তত ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা। আক্ষেপের সুরে শিল্পীদের গলায় শোনা গেল, দিদিমণি ক্লাবগুলোকে টাকা দিচ্ছে, কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার দিকে কারও নজর নেই। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ রাস্তা দিয়ে তাঁরাও চলাচল করেন। ফলে রাস্তা বেহাল থাকায় এই রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়াও এড়িয়ে যাচ্ছেন পুজো কমিটিগুলি।
প্রতিবছরই উত্তর ২৪ পরগনার বামুনগাছির এই মৃৎশিল্পীদের তৈরি প্রতিমা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। কিন্তু এবছর ক্রেতারা সরকারি অনুদান নির্ভর বাজেটের কারণে মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকার ছোট প্রতিমার দিকেই ঝুঁকেছেন। ফলে বড় ঠাকুর বিক্রির সম্ভাবনা প্রায় শেষ। আগামী দু’দিনে কিছু ঠাকুর বিক্রির আশা থাকলেও অবিরাম বৃষ্টিই যেন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃৎশিল্পীদের কথায়, এবছর অসুররূপী বৃষ্টি তাঁদের সব স্বপ্নকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।