তারাপীঠের কাছেই অবস্থিত এই এড়োয়ালি গ্রাম। এই গ্রাম ঘিরে বিভিন্ন কালীপুজোর কথা কথিত আছে। গ্রামে একসঙ্গে ১৩টি কালীপুজো হয় বর্তমানে। আর এই গ্রামেই মট কালীপুজো দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষজন।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
মন্দিরের সেবাইতরা জানাচ্ছেন, রামজীবন রায়ের প্রতিষ্ঠিত এই গ্রামে কালীপুজো শুরু করা হয় রাজ আমলে। কোন এক সাধকের আমন্ত্রণে তারাপীঠ থেকে বামাক্ষ্যাপা এসে পুজো করেছিলেন প্রায় ১৫৫ বছর আগে। গ্রামের ১৩ টি পুজোর মধ্যে মটকালী অন্যতম। প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন এই পুজো। মায়ের মন্দিরে পঞ্চমুণ্ডির আসন রয়েছে। শোনা যায়, একবার পুজোর জন্য পুরোহিত পাওয়া যাচ্ছিল না। মায়ের পুজো করার জন্য বামাক্ষ্যাপাকে নিয়ে আসার জন্য তারাপীঠে পালকি পাঠানো হয়। কিন্তু দেখা যায় পালকি তারাপীঠে পৌঁছানোর আগেই বামাক্ষ্যাপা এড়োয়ালি গ্রামে এসে মটকালীর পুজো করেন।কালীপুজোর রাতে পুজো করার পর তিনি চলে গিয়েছিলেন আবার তারাপীঠে। বামাক্ষ্যাপা যে রীতিতে পুজো করেছিলেন সেই চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী আজও পুজিত হন দেবী চতুভুজা ।
advertisement
আরও পড়ুনDigha Food at Midnapore Town: দিঘার সি-বিচের স্বাদ এবার খোদ মেদিনীপুর শহরে! মুখরোচক খাবারে ভরবে মন
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মট কালীর এখানে ৫১টি মুণ্ডমালা থাকে। এছাড়াও কারণ দিয়ে পুজো করা হয় মাকে। এড়োয়ালি গ্রামের অন্যান্য কালীপুজোর সঙ্গে এই কালীর পুজো অন্যভাবে করা হয়। মাকে একবার দেখার জন্য এবং আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষজন। এমনকি আত্মীয় স্বজনরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও একরাতের জন্য কালীপুজোতে উপস্থিত হন এই গ্রামে ।এক রাতে সেজে ওঠে গোটা গ্রাম। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা নয়। আশেপাশের বীরভূম ও বর্ধমান জেলাতেও এই গ্রামের কালীপুজোর নাম আছে।
কৌশিক অধিকারী