অনুমান করা হয় এই ঢিপির নিচেই প্রাচীন আমলের ছিল বল্লাল সেনের নির্মিত প্রাসাদ। তবে বর্তমানে এটি পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন অনুসারে সংরক্ষিত করা হয়েছে। বল্লাল ঢিপি প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা ও ২৫ থেকে ৩০ ফুট এর উচ্চতা। দূর থেকে দেখলে একটি সবুজ ঘাসে আবৃত পাহাড়ের মত দেখায় এই ঢিপি।
বল্লাল সেনের ইতিহাস:
advertisement
বল্লাল সেন ছিলেন সেন বংশের দ্বিতীয় নৃপতি। ১১৬০ থেকে ১১৭৯ সাল পর্যন্ত সেন বংশে রাজত্ব করেছিলেন তিনি। সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেনের পুত্র এবং উত্তরসূরি ছিলেন বল্লাল সেন। শোনা যায় তিনি তার রাজত্বকালে তার সম্রাজ্য বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন। বরেন্দ্রভূমি, রাঢ়, বঙ্গ, মিথিলা ইত্যাদি আরও অনেক অঞ্চল ছিল তার অধীনস্থ। সেই সমস্ত পুরনো ইতিহাস আজও কিছুটা মনে করিয়ে দেবে আপনাকে বল্লাল ঢিপিতে গেলে।
কীভাবে আসবেন:
কলকাতা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে প্রাইভেট গাড়িতে চলে আসতে হবে ধুবুলিয়ায়। ধুবুলিয়া ঢোকার ঠিক আগেই বাঁ দিকে মায়াপুরের রাস্তা চলে যাচ্ছে। সেই রাস্তা দিয়েই সোজা চলে যেতে হবে বামনপুকুর বল্লাল সেনের ঢিপি।
আরও পড়ুন-প্রকৃতির সঙ্গে নির্জনতা যাপন চাইলে পুজোয় আসুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মংপুতে
এছাড়াও প্রয়োজনে ফোনে ম্যাপের সাহায্য নিতে পারেন। ট্রেনে করে আসতে চাইলে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে লালগোলাগামী যে কোনো ট্রেনে উঠে নেমে পড়তে হবে ধুবুলিয়ায়। সেখান থেকে রয়েছে বাস। বাসে করে যেতে হবে বামনপুকুর বাজার। সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক হাঁটাপথে পৌঁছে যেতে পারবেন বল্লাল সেনের ঢিপিতে।
আরও পড়ুন- নাগরিক জীবন থেকে দূরে আরণ্যক স্বাদ পেতে পুজোয় আসুন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা:
বামনপুকুর গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থিত বলে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা তেমন ভাবে নেই। তবে মিনিট পনেরো এগিয়ে আসলে মায়াপুর সংলগ্ন হোটেলে অনায়াসেই থাকা-খাওয়া এবং গাড়ি পার্কিং এর সুব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতিবেদন-মৈনাক দেবনাথ