আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে বলাগরের জমিদার ছিলেন রঘুনন্দন মিত্র মুস্তাফি। তিনি প্রজাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চালু করেছিলেন এই অভিনব প্রথা। আইবুড়ো ভাত থেকে শুরু করে মালাবদল-সবই হয় একেবারে বিয়ের মতো করে। আর তাতেই উৎসবে মেতে ওঠেন গোটা গ্রামের মানুষ।
অভিনব এই প্রতীকী বিয়ের প্রথা দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। এই বিষয়ের মিত্র মুস্তাফিদের বর্তমান প্রজন্ম তারা জানান, একটা সময় জমিদার বাড়িতে দুর্গাপুজো হত কিন্তু সে দুর্গাপুজো দেখতে যাওয়ার অধিকার ছিল না গ্রামের মানুষদের। কিন্তু জমিদার চাইতেন গ্রামের মানুষদের নিয়ে একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতে। তারপর থেকেই তিনি শুরু করেন এই অনুষ্ঠান। যার ফলে গোটা গ্রামের মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে জমিদার পরিবার মেতে উঠতে পারেন আনন্দে।
advertisement
আরও পড়ুন : টক-মিষ্টি স্বাদের গোলাপি শাঁসের এই ফলেই জব্দ ব্লাড সুগার, জন্ডিস! প্রতিরোধ করে ব্রেস্ট ক্যানসারও
জমিদারির পতন ঘটেছে তবে রয়েছে এই প্রথা। এই সময় গ্রামের কোনও বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে বিন্দুবাসিনী মায়ের মন্দিরের প্রাঙ্গণে চলে খাওয়া-দাওয়া। শিব ও পার্বতীর এই বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের গোটা মানুষরা মেতে ওঠেন আনন্দে।