পুজোর মুখেই হঠাৎ করে ভিড় বাড়ছে বকখালিতে। বকখালিকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার কারণে এই ভিড় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহসভাপতি তথা গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মালি।
পুজোর আগেই সেখানে একটি পার্কিং অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সেখানে প্রচুর পর্যটকের কথা মাথায় রেখে বড় একটি পার্ক, সুলভে পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচালয়, পর্যাপ্ত আলো ও টাইলস বসানো রাস্তা করা হয়েছে সৈকত বরাবর।
advertisement
পুজোর আগেই বকখালি আরোও পর্যটক বান্ধব হয়ে ওঠায় এখানে প্রচুর মানুষজন আসছেন। বকখালির উন্নয়নের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে যার ফল মিলছে এবার বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য অখিলেশ বারুই।
সমুদ্র সৈকত দূরে সরে গিয়েছে বলে বকখালির বদনাম ছিল। কিন্তু বর্ষার মধ্যেই জলের স্তর বেড়েছে। ফলে সমুদ্র সৈকত এগিয়ে এসেছে। ঢেউ চলে আসছে পাড়ের কাছে, বড়-বড় ঢেউ আসছে।
আরও পড়ুন: সাহিত্য সম্রাটের স্মৃতি বিজরিত জয়নগরের দত্তবাড়ির পুজো, আজও ইতিহাস ফিসফিস করে কথা বলে
ফলে বকখালি এখন নতুন করে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এছাড়াও সস্তার ভ্রমণ কম সময়ে সমুদ্র সৈকত দেখার আনন্দও কাছে টানছে পর্যটকরা।
হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপর তৈরি সেতু দিয়ে কলকাতা থেকে সহজেই গাড়ি নিয়ে আসা যাচ্ছে বকখালিতে। যা পর্যটকদের সময় সাশ্রয় করছে। এছাড়াও হোটেল মালিকদের পর্যটকবান্ধব মনোভাব ও আতিথেয়তা কাছে টানছে সকলকে। এদিকে পর্যটক বেশি আসার খবরে খুশি সকলেই।