মজুত রাখা মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। আহত হয়েছেন চারজন পুলিশ কর্মী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার কে শবেরী রাজকুমার। আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনেও এলইডি টিভি, সোমবার ব্যান্ডেল শাখার ট্রেনে যাত্রীরা মজে টেলিভিশনে
advertisement
বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছেই বহরমপুর থানা। একতলায় মালখানা থাকলেও দোতলাতেও একটি মালখানা রয়েছে। সেখানে উদ্ধার হওয়া হেরোইন সহ অন্যান্য জিনিস রাখা হয়।
সেখানে এএসআই সহ চারজন কাজ করছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ছিল যে গোটা ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। দরজা খুঁজে না পেয়ে তাঁরা জানলা দিয়ে হাত বের করে উদ্ধারে কাতর আর্জি জানাযন। জানলা দিয়েও বেরাতে থাকে ধোঁয়া।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। হাতে ও পায়ে আঘাত লেগেছে। তবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা বলেছেন, চারজনের অবস্থা স্থিতিশীল, আশঙ্কাজনক নয়।
দমকলের একটি গাড়ি থানা চত্বরে চলে আসে। যদিও পুলিশের দাবি, টাওয়ারের ব্যাটারি থেকে বিস্ফোরণের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার কে শাবেরী রাজকুমার প্রায় ঘন্টা চারেক থানায় উপস্থিত থেকে তদন্ত করে দেখেন।
জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা এসেও পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখেন। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, যেভাবে থানা চত্বর কেঁপে উঠেছিল তাতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা।
এর আগেও মুর্শিদাবাদে বেলডাঙ্গা থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেখানেও দুজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিল। তার পর সামশেরগঞ্জ, সুতি ও বড়ঞা থানাতেও একইভাবে বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই এই ঘটনা।
এদিন থানাতে বদরপুর থেকে নাজমা বিবি এসেছিলেন বহরমপুর থানায়। বিস্ফোরণের সময় থানায় বসেছিলেন। তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর আওয়াজ পাই। চারিদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। উপর থেকে জানলা দিয়ে চিৎকার করছিল বাঁচাও বাঁচাও করে। তারপর তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন- 'ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে, পিছনে বিজেপি', পার্থর পাশে দাঁড়ালেন চিরঞ্জিৎ
আহত এএসআই সিজাউদ্দিন সেখ বলেন, আমার শারিরীক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ হওয়ায় বুঝতেই পারিনি কী হয়েছিল!