ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নাদনঘাট থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে তাকে সহযোগিতার জন্য আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাদনঘাট থানা এলাকায় বাড়ি সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল মন্তেশ্বর থানার তাজপুর এলাকার মহিরুদ্দিন শেখ ওরফে বাপি নামে ওই এক যুবক।
advertisement
কয়েক দিন আগে ওই যুবক নাবালিকাকে একটি টোটোয় চাপিয়ে নাদনঘাট এলাকার এক পরিচিত ফার্নিচারের দোকানে নিয়ে যায়। দোকানের মালিকের সহযোগিতায় দোকানের দোতলা ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই যুবক নাবালিকাতে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার কথা কাউকে জানানো হলে ফল খারাপ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। সেই কারণে প্রথমে এই ঘটনার কথা ওই নাবালিকা গোপন করে গিয়েছিল। রবিবার সে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টির কথা জানায়। এর পরই পরিবারের তরফে নাদনঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নাদনঘাট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে নাদনঘাট ব্রিজের কাছ থেকে মহিরুদ্দিন শেখকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এর পর তাকে ওই ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে সাহাবুল শাহানা নামে ওই ফার্নিচার দোকানের মালিককেও পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ইতিহাসের সঙ্গে প্রকৃতির মেলবন্ধন, পুজোয় এক ছুটে সীতাভোগ মিহিদানার শহরে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে যাতায়াতের পথে ওই নাবালিকার সঙ্গে ভাব জমিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। সে মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করত। এরপর তাকে টোটো চাপিয়ে দোকান ঘরে নিয়ে গিয়ে এই কুকর্ম করে বলে অভিযোগ।