Traditional-Durga-Puja-2022 : মহাষষ্ঠীর ১৫ দিন আগে থেকে শুরু হয়ে যায় শেওড়াফুলি রাজবাড়ির দুর্গা পুজো!
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Traditional-Durga-Puja-2022 : পুজোর এখনও বাকি বেশ কয়েকটা দিন, তার আগেই শুরু হলও হুগলির শেওড়াফুলি রাজবাড়ি দুর্গা পুজো। পঞ্জিকা অনুসারে দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগে থেকেই শুরু হয় এখানের দুর্গাপুজো।
#হুগলি: পুজোর এখনও বাকি বেশ কয়েকটা দিন, তার আগেই শুরু হলও হুগলির শেওড়াফুলি রাজবাড়ির দূর্গা পুজোর। পঞ্জিকা অনুসারে দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগে থেকেই শুরু হয় এখানের দুর্গাপুজো।দেবী দুর্গা এখানে পূজিত হন সর্ব মঙ্গলা রূপে। প্রায় ২৮৯ বছরের প্রাচীন এই বাড়ির দুর্গা পুজো আজও পালিত হয় পুরাতন রীতি মেনেই। সোমবার সকালে দেবীর ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর।
কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে শেওড়াফুলি রাজবাড়ি দুর্গাপুজো শুরু হয়।অষ্টধাতুর দেবী দুর্গার মূর্তি নিত্য সেবা হয় প্রতিদিন। এই দিন থেকেই পরিবারের সমস্ত সদস্যরা মেতে ওঠেন দুর্গা পূজার আনন্দে। কুড়ি দিন ধরে পুজোর উৎসবের আনন্দে মেতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। পুজোর শুরুর দিনে প্রাচীন প্রথা মেনেই মধ্যাহ্ন ভোজের পাত পাড়া হয়। ভোজের মেনুতে থাকে ইলিশ মাছ, পরোটা এবং ছাঁচি কুমড়ার তরকারি।
advertisement
শেওড়াফুলি রাজবাড়ির পুজোর সঙ্গে রয়েছে এক কথিত ইতিহাস। জানা যায় বর্ধমানের পাটুলির নারায়নপুরে রাজত্ব ছিল দত্তদের। সেই রাজত্বে বিগ্রহের সমাহার দেখে সম্রাট আকবর অনেক জমি দান করেছিলেন। সেই জমি আর রাজবাড়ির অংশ চলে যায় গঙ্গার গ্রাসে। তারপরেই শেওড়াফুলিতে পরিবার নিয়ে এসে বসতি স্থাপন করেন মনোহর দত্ত রায়। শেওড়াফুলিতে ছিল তাদের কাছারি।বর্ধমানের আটিসারা গ্রামে পুকুর খননের সময় স্বপ্নাদিষ্ট দশভুজা পান মনোহর রায়। অষ্টধাতুর সেই দশভুজা শেওড়াফুলিতে নাট মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন সর্বমঙ্গলা রূপে। ২৮৯ বছর ধরে সেই অষ্টধাতুর মূর্তি পুজো হয়ে আসছে শেওড়াফুলি রাজবাড়িতে।সারাবছর নিত্য পুজো হয় দুবেলা। তবে দুর্গাপুজোর চারদিন হয় বিশেষ পুজো পাঠ। আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধবে মুখরিত হয়ে ওঠে পুজোর দিন গুলি।
advertisement
advertisement
রাজবাড়ির বংশধর আশীষ ঘোষ জানান, দেবী সর্বমঙ্গলার মাহাত্ম্যের কথা। শেওড়াফুলির রাজবাড়ির দুর্গা প্রতিমা অষ্টধাতুর। দুর্গার চারপাশে কার্তিক গণেশ লক্ষ্মী সরস্বতী কেউ থাকেনা। তবে দুর্গার পায়ের নীচে রয়েছেন অষুর ও বাহন ঘটক মুখী সিংহ। রাজা মনোহর রায় স্বপ্নাদেশ পান মা সর্বমঙ্গলা মাটির ভেতর কষ্ট পাচ্ছিলেন সেখান থেকে তাকে যেন উদ্ধার করা হয়। স্বপ্নাদেশে তিনি জানতে পারেন বর্ধমানের আটিসারা গ্রামে তিনি রয়েছেন রয়েছেন। সেই মতো রাজা লোক পাঠিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করে দেখতে পান অষ্টধাতুর মূর্তি। পরে সেটিকে নিয়ে এসে শেওড়াফুলি রাজবাড়িতে দুর্গা রূপে পূজা করা হয়।
advertisement
রাহী হালদার
view commentsLocation :
First Published :
September 20, 2022 10:59 PM IST