শিশু এবং বয়স্কদের কান্না জরুরি অবস্থার অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যাদের উঁচু বাড়ি তাঁরা ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে যাদের কাঁচা বাড়ি, সেই পরিবারগুলিকে উদ্ধারকারী দল ফের নৌকায় করে নিয়ে যাচ্ছে। গন্তব্য ডাঙার দিকে ফ্ল্যাড ক্যাম্প।
আরও পড়ুনঃ হোর্ডিং থেকে বিজ্ঞাপন, বাংলায় লেখা এবার বাধ্যতামূলক! নয়া সিদ্ধান্তে খুশি জনতা
advertisement
খাদ্য, জল এবং চিকিৎসার মত মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাব সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। জরুরি প্রতিক্রিয়াকারীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাজার-হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং আরও অনেকে তাঁদের ঘরবাড়ি এবং জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। স্থানীয় অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা সব কার্যত লাটে উঠেছে, সোনার ফসল এখন ধ্বংসপ্রায়!
বন্যার জল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঘাটালের মানুষ ত্রাণের অপেক্ষায়। স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একে অপরকে সাহায্য করতে একত্রিত হচ্ছে সব সম্প্রদায়। তবে ঘাটালবাসীর এই যন্ত্রণায় সরকার, প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রথম নয়, এর আগেও তাঁদের তৎপরতা চোখে পড়েছে। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। পথে নেমেছে বেশ কিছু মানবিক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাও। ঘাটালবাসী এই জলযন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পায় সেটাই এখন দেখার।