বিগত বহুকাল আগে বাঁদনা পরবের এই সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রতিবছর ডাকাতের দল মাঠের ফসল (ধান) লুট করে নিয়ে যেত। তাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির মুখে পড়তে হত চাষিদের। একটা সময় পর এই ডাকাতি প্রতিরোধ করতে মাতৃ মূর্তি নিরঞ্জনের পূর্বে পুরুলিয়ার হুড়ার বড়গ্রামে মায়ের মন্দিরে নেওয়া হয়েছিল শপথ। এলাকার হাজার হাজার মানুষ সেদিন মশাল হাতে জড়ো হয়েছিলেন ওই গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু রোপন করে দায়িত্ব শেষ নয়, ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মত গাছ রক্ষার আবেদন! পরিবেশ রক্ষায় পুলিশের উদ্যোগ
গ্রামবাসীদের একতার সামনে ডাকাতদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছিল। গ্রামবাসীদের ঐক্যের কাছে পিছু হটেছিল ডাকাত দল। আর তখন থেকেই ভাই দ্বিতীয়ার দিন মায়ের মন্দিরে মশাল হাতে পৌঁছন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। প্রতিমা নিরঞ্জনের পূর্বে মশাল জ্বালিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করে ঐক্য শক্তির আরাধনায় মত্ত হন তারা। প্রতিবছরের মতো এবছরও সেই একই ভাবে ঐক্য শক্তির আরাধনা করতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দীর্ঘ বহু বছর আগে এই রীতি প্রচলিত হয়েছিল এই গ্রামে। তাদের পূর্বপুরুষের আমল থেকে এই উৎসব হয়ে আসছে। আজও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ভাইফোঁটার রাতে একেবারে উৎসবের চেহারা নেয় গোটা বড়গ্রাম। হাতে মশাল নিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিমা নিরঞ্জন হতে দেখা যায় এই গ্রামে। একেবারে উৎসবের চেহারা নেয় চারিদিক। ঐক্য শক্তির মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জনে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম।





