গোঘাটের হাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকা। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা এসেছিল বন্দনা কুন্ডুর অ্যাকাউন্টে। তবে ততদিনে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন সদস্যা। এখন তিনি ও তাঁর পরিবার নিজেরাই তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। সেই পাকা বাড়ি হওয়ার কাজও চলছে জোর কদমে। এই সময়েই তিনি দেখতে পান তাঁর অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা এসেছে। এর পরেই বিডিওর কাছে গিয়ে লিখিত আবেদন করে আবাস যোজনার টাকা ফেরত দেন পঞ্চায়েত সদস্য।
advertisement
পঞ্চায়েত সদস্য বন্দনা কুন্ডু বলেন, যে সময় আবাস যোজনার সমীক্ষা হয়েছিল, সেই সময় তাঁদের মাটির বাড়ি ছিল। মাটির বাড়ির উপর টালি চালে কোনওরকমে দিন কাটত গোটা পরিবারের। ঘটনাটি প্রায় সাত বছর আগেকার। সেই সময়েই সমীক্ষা হয়েছিল আবাস যোজনার। সাত বছরের মধ্যে তিনি ও তাঁর পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাঁরা একটি যৌথ পরিবারে থাকেন, সেখানে সবাই মিলে কিছু কিছু টাকা দিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করছেন। এরমধ্যে দিন কয়েক আগে বন্দনার অ্যাকাউন্টে আসে আবাস যোজনার টাকা। যেহেতু এখন তাঁরা স্বাবলম্বী এবং নিজেদের বাড়ি নিজেরাই তৈরি করতে পারছেন, সেই কারণেই আবাস যোজনার টাকা ফেরত দিয়ে দেন।
ওই এলাকার ব্লক সভাপতি সৌমেন দিগার বলেন, ২০১৮ সালে হয়েছিল আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ। সেই সমীক্ষার কাজ যখন হয় তখন পঞ্চায়েত সদস্যের মাটির বাড়ি ছিল। খুব কষ্টে তাঁরা জীবন যাপন করতেন। সেই কারণে সমীক্ষায় তাঁর নাম এসেছিল। তবে বর্তমানে তাঁরা নতুন বাড়ি তৈরি করছেন। সেই কারণে নিজে থেকেই তিনি এগিয়ে এসে তাঁর আবাস যোজনার টাকা ফেরত দিয়েছেন।
রাহী হালদার