ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার থেকে, চুঁচুড়ার সিংহী বাগানের বাসিন্দা ইতি বিশ্বাসের অভিযোগ, তাঁর বাড়ির পোষ্য দশটি হাঁসের মধ্যে তিনটি হাঁসকে কেউ বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে। তার বিচার চাওয়ার জন্যই বারবার তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পুলিশের কাছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের কথা বলে। কিন্তু মানুষের ময়নাতদন্ত সম্ভব হলেও জেলায় হাঁসের বা পশুর ময়নাতদন্ত করার কোনও ব্যবস্থা নেই। সেই জন্য তাঁকে তার পোষ্যদের নিয়ে আসতে হয় পশু হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে হাঁসগুলিকে পাঠাতে হয় কলকাতার বেলগাছিয়ার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে।
advertisement
গোটা ঘটনায় ইতি বিশ্বাসকে সাহায্য করেছেন জেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী। তাঁরই তত্ত্বাবধানে হাঁস-হত্যার রহস্য ভেদ শুরু হয় সরকারি দুই দফতরে। আইনের যাঁতাকল থেকে বেরিয়ে হাঁসগুলিকে পাঠানো হয় ফরেন্সিক ল্যাবে, ময়না তদন্তের জন্য।
আরও পড়ুন: ভরপুর বিতর্ক! রণবীরের ব্লকবাস্টার ‘অ্যানিমাল’ এবার ওটিটি-তে! কবে ও কোথায় দেখবেন
এই বিষয়ে ইতি বিশ্বাস তিনি বলেন, সামান্য ঝাল মুড়ি বিক্রি করে তাঁদের সংসার চলে। সেখানে তাঁর পোষ্য হাঁসগুলি আয়ের একটি বড় পথ। কারণ হাঁসের ডিম বিক্রি করে যা টাকা আসত, তাই দিয়ে চলত তাঁদের সংসার। যারা তাঁর হাঁসগুলিকে খুন করেছে, তিনি তাদের শেষ দেখে ছাড়বেন।
রাহী হালদার