জঙ্গলমহলের মানুষেরা ভোররাত থেকে উঠে গভীর জঙ্গলে পাড়ি দিয়ে সেখান থেকে এই ছাতু সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। সারা বছরে ভাদ্র মাসের কয়েকটা দিন এই ছাতু পাওয়া যায় বলেই স্বাভাবিকভাবে মানুষ অপেক্ষায় থাকে এই ছাতু ওঠার। অনেকের কাছে এই ছাতু মাছ মাংসের চেয়েও প্রিয়। ছাতুর ব্যাপক আমদানি হয়েছিল। এর জেরেই কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে জনতার ঢল নামেছে খাতড়ার বিভিন্ন বাজারগুলিতে এই অষ্টমী ছাতু কেনার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪ হাজার টাকার পাট বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার! তবুও মুখে হাসি নেই চাষিদের! জানুন আসল ভিলেন কে…
বাঁকুড়ার কাড়ান ছাতুর ঝাল করার ক্ষেত্রে সর্ষের সঙ্গে বেটে রাখতে হয় কাঁচালঙ্কা। তারপর কাটা, পরিষ্কার করা কাড়ান ছাতু কড়াইয়ে বসিয়ে তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, হলুদ, নুন দিয়ে আগেই প্রস্তুত তৈরি বাটা দিয়ে ঝাল করা হয়। পেঁয়াজ -রসুনও দেওয়া হয় এই খাবারে। অনেকটা মাংসের মত। দামে একটু বেশি হলেও, স্বাদের কারণে মানুষ অত্যন্ত পছন্দ করেন কাড়ান ছাতু। অনেকে আবার মাংসের মতো কষে রান্না করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জীবনকে বিপন্ন করে গভীর জঙ্গল থেকে সংগ্রহকারীরা সাধারণ মানুষকে এই ছাতু কেনার সুযোগ করে দিতে পেরে যেমন একদিক থেকে খুশি, তেমনই ন্যায্য দাম না পাওয়ার একটা আক্ষেপও রয়ে গেল। তবে বিষয় যাই হোক না কেন, বছরের এই একটা সময় এই মরশুমি মাসরুমকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। যদি এই ছাতুর স্বাদ গ্রহণ করতে চান আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে জঙ্গলমহল সহ বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায়।