আবাস যোজনার সার্ভেতে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তেজনার পারদ চড়ছে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। হরিহরপাড়ার খামার মাটি তুলসীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশাকর্মী তহমিনা খাতুন আবাস যোজনার সার্ভেতে নিকট আত্মীয়দের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম বাদ দেননি কিন্তু যাদের কাঁচা বাড়ি, তাঁদের নাম তালিকা থেকে কেটে দিয়েছে। আবাস যোজনার তালিকা থেকে প্রায় ৭০ জনের নাম কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার ওই আশাকর্মীর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
বিক্ষোভকারী মালেকা বিবি বলেন, "আশাকর্মী তহমিনা খাতুন ঘরের তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমি একটা টালির ভাঙা বাড়িতে থাকি। তা হলে আমার নাম বাদ দেওয়া হল কেন? আমি বাড়ি চাই।" বিক্ষোভকারী হান্নান মণ্ডল বলেন, "তহমিনা খাতুন নিজের আত্মীয়দের নাম তালিকায় রেখে দিয়েছেন। অথচ যাঁরা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নামই বাদ দিয়ে দিয়েছে। আমরা চাই বিডিও এসে তদন্ত করুক এবং উপযুক্তদের ঘর দেওয়া হোক।"
আরও পড়ুন : আগুনে পুড়ে ছাই ১৬ বিঘা জমির পাকা ধান,মাথায় হাত কৃষকদের
অভিযুক্ত ওই আশাকর্মী তহমিনা খাতুন বলেন, " গ্রামবাসীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসীদের রোষে আমি অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছি। আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম তালিকা থেকে কাটা হয়েছে।"
বিডিও রাজা ভৌমিক বলেন, " আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত করে সমস্ত বিষয়টি দেখা হচ্ছে। ২০১৮ সালের লিস্ট অনুযায়ী যাঁরা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা ঘর পাবেন। নতুন করে কোনও নাম সংযোজন করা যাবে না।"
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক চাল! রেশন দেওয়া বন্ধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
অন্যদিকে আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে জলঙ্গি ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া উপভোক্তারা। অভিযোগ তেলেপাড়া ধনিরামপুর গ্রামের যারা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নাম পঞ্চায়েত থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারী মেরিনা বিবি বলেন, " ২০১৮ সালের তালিকায় আমার নাম ছিল। এই ৫বছর ধরে আশায় ছিলাম। মাথার উপর পাকা ছাদ হবে। কিন্তু আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ যাদের পাকা বাড়ি আছে তাদের নাম তালিকায় রাখা হয়েছে। আমরা চাই যারা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য তদন্ত করে তাদের ঘর দেওয়া হোক।"
বিক্ষোভকারী রুহুল সেখ বলেন," আমরা চাই বিড়িও এসে আমাদের গ্রামে তদন্ত করুক। যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তাদের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।"