আগুনে পুড়ে ছাই ১৬ বিঘা জমির পাকা ধান,মাথায় হাত কৃষকদের

Last Updated:

Burdwan Paddy Field: জমির ধান পেকে গিয়েছিল। দু একদিন পরই সেই ধান কাটা হত

খণ্ডঘোষ ব্লকের ওয়াঁড়ি গ্রামের মাঠে ১৬ বিঘা জমির খাস ধান ভস্মীভূত হয়ে গেল নিমেষের মধ্যে
খণ্ডঘোষ ব্লকের ওয়াঁড়ি গ্রামের মাঠে ১৬ বিঘা জমির খাস ধান ভস্মীভূত হয়ে গেল নিমেষের মধ্যে
খণ্ডঘোষ : নাড়া পোড়ানোর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ষোল বিঘে জমির ধান। ওই জমির ধান পেকে গিয়েছিল। দু একদিন পরই সেই ধান কাটা হত। কিন্তু নাড়া পোড়ানোর আগুনে তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে এই ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন আগেই ভাতারে নাড়ার আগুনে জমির ধান পুড়ে গিয়েছিল। গলসিতে নাড়া পোড়ানোর আগুনে পুড়ে যায় একটি ট্রাক্টর।মেমারির কলানবগ্রামে নাড়া পোড়ানোর আগুনে এক কৃষকের মৃত্যুও হয়। তার পরও বাসিন্দাদের হুঁশ ফিরছে না। তার পরিণতিতে এ বার বড় ক্ষতি হল খণ্ডঘোষে।
জেলা প্রশাসন তথা কৃষি দফতর নাড়া পোড়ানো বন্ধে জোরদার প্রচার করে যাচ্ছে। পুলিশও নাড়া পোড়ানো বন্ধে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে। মাঠে নেমে কৃষকদের সচেতন করছে। তা সত্ত্বেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নাড়া পোড়ানো অব্যাহত রয়েছে।এবার সেই নাড়ার আগুনে খণ্ডঘোষ ব্লকের ওয়াঁড়ি গ্রামের মাঠে ১৬ বিঘা জমির খাস ধান ভস্মীভূত হয়ে গেল নিমেষের মধ্যে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দূরের কোনও জমিতে ধান কেটে নেওয়ার পর নাড়াতে কেউ বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন হাওয়ার গতিতে নিমেষের মধ্যে এসে পড়ে পাশে থাকা খাস ধানের জমিতে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১৬ বিঘা জমির খাস ধান।
advertisement
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক চাল! রেশন দেওয়া বন্ধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হারু সাঁতরা, খণ্ডঘোষ ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। আধিকারিকরা সমগ্র বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করে নিয়ে যান। চাষিদের দাবি, ১৬ বিঘা জমির খাস ধান পুড়ে যাওয়ায় আনুমানিক চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের ক্ষতিপূরণের জন্যেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন :  ট্রেনের কামরায় ছিল বস্তা, হয়ে গেল সজারু! লক্ষ টাকা হাতবদলের আগেই গ্রেফতার ৩
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এবার নাড়া পোড়ানো বন্ধে ব্লকে ব্লকে ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। নাড়া পোড়ানোর আগুনে বিভিন্ন ক্ষতির কথা বলে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাড়া পোড়ানো বন্ধ করা যাচ্ছে না। সেজন্যই বার বার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতির তথ্য আসছে। এছাড়াও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। তবুও কৃষকদের নাড়া পোড়ানো থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আগুনে পুড়ে ছাই ১৬ বিঘা জমির পাকা ধান,মাথায় হাত কৃষকদের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement