TRENDING:

কাজ নেই বলে হতাশ? আসানসোলের জিতেন'কে দেখলে মনোবল বাড়বে

Last Updated:

ভিক্ষা নয়। চাকরিরও প্রয়োজন হয়নি জিতেনে'র। কিন্তু ছ'ঘন্টা পরিশ্রম করেই যা উপার্জন করেন, আপনাকে ভাবাবে। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আসানসোল, রিন্টু পাঁজা: তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম। কিন্তু পিছিয়ে নেই। বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি প্রতিবন্ধকতা। মনের প্রবল জোর আর ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন এই ব্যক্তি। কথায় আছে, জীবন যুদ্ধে নেমে লড়াই করার নামই জীবন। সেই রকম জীবন সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন জিতেন বাবু। অনেক সময় দেখা যায় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা পরিবারের কেউ না থাকায় অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়ান, কখনও কখনও আবার দিন চালাতে ভিক্ষাবৃত্তিও করতে হয়।
advertisement

তবে আজকে এমন এক ব্যক্তির কথা বলব, যিনি ভিক্ষাবৃত্তি না করেও প্রত্যেকদিন যা উপার্জন করেন জানলে আপনিও চমকে যাবেন। জিতেন রায়। বয়স ৪০ বছর। বিশেষ ভাবে সক্ষম তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর বয়স যখন ১৫ বছর, সে সময় অসুস্থতার কারণে দুটি পায়ের ক্ষমতা তিনি হারিয়ে ফেলেন। যার ফলে অসুস্থ হয়ে যান। তখন থেকেই ট্রাই সাইকেলই এক মাত্র ভরসা হয়ে দড়িয়েছে। তবে তাঁর প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি জীবন সংগ্রামের এগিয়ে যাওয়ার পথে।

advertisement

আরও পড়ুন : কন্যাশ্রীদের স্বপ্নের যাত্রা আরও সহজ হল ! মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ধরল ভবিষ্যতের হাল

নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়েই এগিয়ে চলেছেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তি না করেই প্রত্যেকদিন সকাল হলেই ট্রাই সাইকেলে করে জল ভরে এলাকায় দোকানে দোকানে পৌঁছে দিয়ে উপার্জন করছেন তিনি। যার ফলে নিজেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। জিতেন রায় বলেন, পরিবারে আমার শুধুমাত্র দাদা, বৌদি ও ভাইপো রয়েছে। বিয়ে করা হয়নি। এই জল ভরে দোকানে দোকানে দেওয়ার কাজ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে করছি।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : পাহাড়ি ঝর্ণার জল নিয়ে দলে দলে হাঁটছেন মানুষ! মনোকামনা পূরণের দরজা এই মন্দির

আসানসোলের বিএনআর মোড় থেকে কোর্ট চত্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দোকানে আমি এই জল দোকানে দোকানে সরবরাহ করে থাকি। কোনও দিন ৩০০, আবার কোনও দিন ৪০০ টাকা উপার্জন হয়। আসানসোল শহরের অন্তর্গত কচুঘাটা এলাকার বাসিন্দা জিতেন রায়। ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। তাঁর করা উপার্জন দিয়ে পরিবারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

advertisement

প্রত্যেকদিন সকাল পাঁচটা হলেই ট্রাই সাইকেলে জলের কয়েকটি ব্যারেল নিয়ে চলে আসেন আসানসোল জেল গেটের সামনে। সঙ্গে নিয়ে আসেন তার ছোট্ট ভাইপোকে। সেখানে পাইপের মাধ্যমে ব্যারেলে করে জল ভরেন, সঙ্গে সহযোগিতা করে তাঁর ভাইপো।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এরপরে সেই জল ভর্তি পাত্রগুলি ট্রাই সাইকেলে করে আসানসোলের বিএনআর মোড় থেকে কোর্ট চত্বর মোড় পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দোকানে পৌঁছে দেন। এভাবেই তার উপার্জন হয়। তার এই সংগ্রামকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকায় সাধারণ মানুষ।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কাজ নেই বলে হতাশ? আসানসোলের জিতেন'কে দেখলে মনোবল বাড়বে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল