১২তম রাউন্ডের শেষেই তৃণমূল ১ লক্ষ ৯৯ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ব্যবধান বর্তমানে প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি। একটা সময় আসানসোল লোকসভার সাতটা বিধানসভার মধ্যে ৪টা-তে এগিয়ে ছিল তৃণমূল, তিনটে-তে এগিয়ে ছিল বিজেপি। শেষ পর্যন্ত সাতটির মধ্যে ছ'টি বিধানসভাতেই লিড নিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। একমাত্র কুলটি বিধানসভায় ৪৬৬ ভোটে লিড পান বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল৷ এর আগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে লড়ে বাবুল সুপ্রিয় জিতেছিলেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজারের বেশি ভোটে। সেই রেকর্ড এবার ভেঙে দিলেন শত্রুঘ্ন।
advertisement
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জ বাবুলের, অক্সিজেন নিয়ে নিল CPIM! শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি বিজেপির?
আপাতত যেদিকে যাচ্ছে ফল, শত্রুঘ্ন আড়াই লক্ষ ভোটে জিতলে অবাক হওয়ার থাকবে না। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত আসানসোল লোকসভা ছিল বামেদের দখলে, তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ লোকসভায় দোলা সেনকে প্রার্থী করেও বিজেপি-র বাবুল সুপ্রিয়র কাছে হেরে গিয়েছিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: আসানসোলে পিছিয়ে পড়েছেন, তার আগেই আশঙ্কার কথা জানালেন অগ্নিমিত্রা পাল! কী ঘটল?
পাঁচ বছর পর বিজেপি-র বাবুলের হাত থেকে আসানসোল ছিনিয়ে নিতে মুনমুন সেনকে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুনুমুনও পারেননি তৃণমূল নেত্রীকে আসানসোল এনে দিতে। কিন্তু বাবুল আসানসোল ছাড়তেই সেখানে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেন মমতা। আর সেই অস্ত্রেই এবার আসানসোলে বাজিমাত করল তৃণমূল। যদিও নিজের কেন্দ্রে হার প্রসঙ্গে একদিকে যেমন তৃণমূলের সন্ত্রাসকে দায়ী করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল, পাশাপাশি সংগঠনও যে দুর্বল সে কারণেই লোকসভা কেন্দ্রে হারের অন্যতম কারণ, তাও মেনে নিলেন তিনি।