গণেশ চতুর্থীর আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি,এদিকে বরাত পাওয়া প্রতিমার মাটি না শুকানোয় রং তো দূর অস্ত প্রতিমা সরবরাহ করা যাবে কি না তা নিয়েই তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আর শুধু গনেশ পুজোয় নয় দুর্গাপূজোর আগে রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো, মনসা পূজোও।তাই কোথাও কোথাও হিটার,গ্যাস বার্ণার ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লাইট জ্বালিয়ে প্রতিমা শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।কিন্তু এই পদ্ধতি পর্যাপ্ত যেমন নয় তেমনই ব্যয়বহুল ফলে একদিকে সময় ও অন্যদিকে খরচের বহর বাড়ছে বলে দাবী শিল্পীদের।অন্যদিকে,বরাত অনুযায়ী দুর্গাপুজোর প্রতিমা গড়ারও কাজ জোর কদমে চললেও সেখানেও বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে বৃষ্টি ফলে সময়ের অভাবে তাঁদের চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিল্পীরা।
advertisement
শিল্পী গৌতম পাল বলেন, প্রচুর সমস্যা, ঠাকুর না শুকালে রং করা যাবে না। এত বৃষ্টি যে ঠাকুর রোদে বের করে শুকাব তার উপায় নেই। মাত্র দুদিন সময় আছে হাতে কিন্তু ঠাকুর এখন কাঁচা রয়েছে। ফলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাস বার্নার, হ্যালোজেনের ব্যবহার করতে হচ্ছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অর্জুন পাল বলেন, বৃষ্টির মধ্যে জলের দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। নানা রকম জিনিসপত্র দিয়ে ঠাকুর শুকাতে হচ্ছে। বাইরে কাজ হলে প্লাস্টিক টাঙ্গিয়ে কোনরকমের কাজ করতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে কাজ।
বৃষ্টির কারণে প্রতিমা তৈরিতে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে, তা শুধু গণেশ চতুর্থী নয়, বরং আসন্ন দুর্গাপুজোর উপরেও প্রভাব ফেলছে। কুমোরটুলির শিল্পীরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন যাতে প্রতিমার গুণগত মান বজায় থাকে এবং সময়মতো তা সরবরাহ করা যায়। তবে, প্রকৃতির এই প্রতিকূলতার ফলে একদিকে অতিরিক্ত খরচ এবং অন্যদিকে প্রতিমা তৈরি করতে বেশি সময়ও লাগছে তাদের। এখন আবহাওয়া অনুকূল হওয়ার আশায় শিল্পীরা।