বর্তমান সময়ে বনাঞ্চল ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ এবং বসতি বিস্তারের কারণে নানান প্রজাতির পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষের অসচেতন কর্মকাণ্ডের ফলে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সেই কারণেই পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বনমালীচট্টা হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ খুশির জোয়ার! ৬ বছর পর ফিরে এল ‘উমা’! এবার পুজোয় সেজে উঠবে গোটা গ্রাম
advertisement
প্রথম ধাপে স্কুলের বিস্তৃত ক্যাম্পাসে থাকা অসংখ্য গাছে মাটির হাঁড়ি বাধা হয়েছে। এই হাঁড়িগুলো পাখিদের কৃত্রিম বাসা হিসেবে ব্যবহার হবে। শুধু তাই নয়, হাঁড়ির ভিতরে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার। কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, দুর্গাপুজোর সময় ক্যাম্পাসে পড়াশোনা বন্ধ থাকায় পরিবেশ কোলাহলমুক্ত হবে। সেই সুযোগেই পাখিরা সহজে এই হাঁড়িগুলোকে তাদের স্থায়ী বাসা হিসেবে বেছে নেবে।
এই উদ্যোগকে ঘিরে পড়ুয়াদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই তারা দল বেধে গাছে হাঁড়ি বাধা দেখতে যায়। কেউ কেউ খাতা-কলমে লিখে রাখছে কোন গাছে কতগুলো পাখি আসছে, কীভাবে তারা খাবার খাচ্ছে কিংবা বাসা তৈরি করছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, এই পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিই পরবর্তীকালে ছাত্রছাত্রীদের গবেষণামূলক শিক্ষায় সাহায্য করবে। এলাকাবাসীও এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের প্রকল্প কেবল একটি স্কুল নয়, গোটা এলাকার জন্য শিক্ষণীয় উদাহরণ হয়ে উঠবে। বনমালীচট্টা হাইস্কুলের উদ্যোগ দেখিয়ে দিল, শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, প্রকৃতিকে রক্ষার মধ্য দিয়েও এক মূল্যবান পাঠ শেখান যায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় কুমার গিরি জানান, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু পাখিদের রক্ষা করা নয়। ছাত্রছাত্রীদের শেখানো জরুরি যে, পরিবেশ রক্ষা করলে তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদ থাকবে। প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে’।