রূপনারায়ণপুরে, কল্যানেশ্বরী ড্রাগ হাউসের সামনে সাদা পোশাকে অপেক্ষায় ছিল টাস্ক ফোর্সের দলবল। গোয়েন্দারা অপেক্ষা করছিল ক্রেতাকে ধরার জন্য। ইতিমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রেতা কোনওভাবে বিপদ বুঝতে পেরে গা ঢাকা দেয়। পরে টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ওদের ব্যাগ পরীক্ষা করে মোট পাঁচটি প্লাস্টিকের বাক্স উদ্ধার করে। তাতে দুটি সেভেন এমএম পিস্তল, তিনটি নাইন এমএম পিস্তল, পাঁচটি ওয়ান সটার পিস্তল পাওয়া যায়। মোট চল্লিশটি গুলিও পাওয়া যায়। এরপর তাদের সালানপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: উৎসবের আগে অসহায় কৃষিজীবীরা, কীভাবে কাটবে দুর্গা পুজো!
আরও পড়ুন: রাধাষ্টমীতে কোচবিহারে বড় দেবীর মন্দিরে স্থাপন হল ময়নাকাঠ, শুরু হবে মূর্তি গড়া
জানা গিয়েছে, একজনের নাম রঞ্জিত শর্মা। অন্যজনের নাম বালিরাম।রঞ্জিত শর্মা বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। বালিরামকে সঙ্গী হিসেবে এনেছিল রঞ্জিত। রঞ্জিতের বাবা জ্ঞানসাগর শর্মা এর আগে আন্তঃরাজ্য অস্ত্র পাচারের মামলায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা এবং বিহার ঝাড়খণ্ডের সীমানা দিয়ে অনায়াসে অস্ত্র ঢুকছে এ রাজ্যে। বারে বারে ধরা পড়লেও কোনভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না। গোয়েন্দা সূত্রে খবর ,এবারও আগ্নেয়াস্ত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলার আশেপাশের কোন জেলাতে সরবরাহের কথা ছিল। ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে চাইছে অস্ত্রগুলি কাকে দিতে এসেছিল? গোয়েন্দাদের দাবি অস্ত্র পাচারকারীরা ধরা পড়লে কোনওভাবে ক্রেতার নাম বলতে চায় না ধৃতরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় নাশকতা ছক রয়েছে কিনা এবং ইতিমধ্যে আরো অস্ত্র এরা এ রাজ্যের সরবরাহ করেছে কিনা, সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা।