এই মামলা দুটো বারাসাতের এম পি, এমএলএ আদালতে উঠেছিল। কিন্তু সেখান থেকে মামলা আলিপুরদুয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফার্স্ট কোর্টে চলে আসে। ১১ নভেম্বর ফাস্ট কোর্টের বিচারক না থাকায় থার্ড কোর্টের বিচারক নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই নির্দেশ নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর আইনজীবী দুলাল ঘোষ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁকে অন্ধকারে রেখে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহরের বাদল নগর এলাকায় জয়গুরু জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই বছর আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ জমা দেন সোনার দোকানের মালিক। এর পর ওই মাসেই আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া বীরপাড়াতে পাল জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই বছর ১৩মে চুরির ঘটনারও আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
advertisement
আরও পড়ুন, 'লাভ জিহাদ যোগ হতে পারে!' শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক ইঙ্গিত মৃতার বাবার
এই দুটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনাতে বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বারাসাতের এমএলএ , এমপি আদালতে গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের অনুমতি ক্রমে এই দুই মামলা ফের আলিপুরদুয়ারের ট্রায়াল কোর্টে চলে আসে। গত ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের আদালত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
আরও পড়ুন, ‘‘পঞ্চায়েতে বুথ দখল চলবে না, যে দলেরই হোক’’, অবাধ ভোটের সওয়াল অভিষেকের
নিশীথ প্রামাণিকের আইনজীবী দুলাল ঘোষ বলেন, “১১ নভেম্বর ফার্স্ট কোর্টে আমি বিকেল চারটা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কোনও শুনানি হয় নি। পরে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ থার্ড কোর্টের বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমার অজ্ঞাতে এই নির্দেশ হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে কী করব, তা পরে জানাব।”
রাজকুমার কর্মকার