আদালতে ঢুকে নিজের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিচারককে আর্জি জানান অনুব্রত। বেঞ্চ থেকে উঠে গিয়ে বিচারকের সামনে গিয়ে হাত জোর করে দাঁড়ান অনুব্রত। বলেন, 'আজ আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই। কাল যা টিভিতে দেখেছি তার নিজে আপনি বিচার করুন। হুমকি চিঠি নিয়ে আপনি একটা বিচার করুন।'
আরও পড়ুন: শক্তিগড়ে থামল কনভয়, আদালতের পথে মুড়ি-চায়ে প্রাতঃরাশ সারলেন অনুব্রত
advertisement
অনুব্রতর এই প্রশ্নের পরই বিচারক বলেন, 'দু'পক্ষের কেউ এই বিষয় তুলবেন না। হুমকির সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা বিচার ব্যবস্থা নিয়ে জুডিশিয়ারি ট্রেণ্ড বা প্রশিক্ষিত, থ্রেট নিয়ে মামলার সম্পর্ক নেই। দু'পক্ষের কোনও পক্ষই এই বিষয় তুলবেন না, নাহলে আমি পার্টি হয়ে যাব।' এদিন আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন করেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নেই। তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। বিচারক প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়ার আর্জি মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: আদালতে পেশের আগে হঠাৎ আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত, মুখেও ফিরল হাসি! ভোল বদলে রহস্য
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কে এই হুমকি চিঠি পাঠাল বিচারককে? কারণ অনুব্রত মণ্ডল এখনও সিবিআই হেফাজতে। এই হুমকি চিঠির বিষয়টি বিচারক নিজেই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। ওই হুমকি চিঠিটি লিখেছেন বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। যদিও এই নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডলই।
সৌরভ তিওয়ারি