অনুব্রত মণ্ডল নিজে থাকাকালীন নিজে হাতে কালী মূর্তি সামনে বসে গয়না পরাতেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই গয়নার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছিল। যদিও এবছর গয়না ২০২২-এর তুলনায় একটু বেশি গয়না পরানো হয়েছে কালী প্রতিমাকে। এই গয়না নিয়ে যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও কথাই বলা হচ্ছে না।
advertisement
প্রতিবছর ধুমধাম করে কালীপুজো করে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। তার এই কালীপুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল প্রতিমার গয়না। প্রতিবছর গুণিতক আকারে এই গয়নার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। ২০২০ সালের কালীপুজোর সময় অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমার গায়ে যে সোনার অলংকার ছিল তার পরিমাণ ছিল ৩৬০-৩৭০ ভরি। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সেই অলংকারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬০-৫৭০ ভরি। এই অলংকারের আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি টাকার বেশি। কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের আরাধ্যদেবী কালীর জন্য বানানো গয়নাও।
আরও পড়ুন: ‘বেসামাল’ অনুপম! বেকায়দায় পড়ে নাড্ডার কাছে নালিশ ঠুকলেন সুকান্ত মজুমদার
প্রশ্ন উঠছিল এত টাকা মূল্যের সোনার গয়না কোথায় থেকে এল? সেই তদন্তও করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চেয়েছিলেন, এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না কোথায় থেকে কীভাবে এল? যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী এই সকল সোনার গয়না তৈরি এবং কেনা অথবা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তা ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা ডেকে জেরা করেছেন। এবার তাই অনুব্রতর কালীপুজোর জৌলুস আরও কমল।