কয়েকদিন আগে গরুপাচার মামলায় সুকন্যাকে দিল্লির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সুকন্যা ইডির ডাকে সাড়া দেননি। আর তখন থেকেই সুকন্যা মণ্ডল কোথায় আছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তবে সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় কেষ্টর মেয়ে সুকন্যা নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন। আর ফিরেই তিহাড় জেলে তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডলকে হেনস্থা এবং নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে বেজায় ক্ষেপে ওঠেন তাঁর কন্যা। জানা গিয়েছে, এতটাই রেগে যান তিনি, জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন বাড়িতে। এই তোলপাড় করা শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ভিড় জমে যায়। ছুটে যান জেলার তৃণমূল নেতারাও।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা-শুভেন্দুর বৈঠকে 'সেই' বোঝাপড়া, বড় সঙ্কটের মুখে রাজ্য! বিস্ফোরক মহম্মদ সেলিম
যদিও তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ''এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জানি না। তবে দল সবসময় সুকন্যার পাশে আছে। ব্যক্তিগত ভাবেও যেটুকু থাকা দরকার, আমরা সকলে তাঁর সঙ্গে আছি।'' সূত্রের দাবি, শনিবার রাত দশটার সময় বাড়িতে যখন ভাঙচুর চালান সুকন্যা, তখন কেষ্টর বাড়িতে আসেন কোর কমিটির সদস্য তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সুদীপ্ত ঘোষ, বোলপুরের পুরপ্রধান ওমর শেখের মতো নেতারা। তাঁদের সামনে সুকন্যা কার্যত ভেঙে পড়েন। তাঁদের দুঃসময় চলছে, সেই কারণেই সকলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বলেও অনুযোগ করেন সুকন্যা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত বেলুড় মঠের সহ সংঘাধক্ষ্য স্বামী প্রভানন্দ, শোকে বিহ্বল অগণিত ভক্ত
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সুকন্য়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ''কেষ্ট এখন জেলে রয়েছে। মেয়েটা একা রয়েছে। তোরা ওর বাড়ির খোঁজখবর রাখিস।'' আসলে মমতা অন্ত প্রাণ অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের সেই তথাকথিত বেতাজ বাদশা এখন তিহাড় জেলে। বাড়িতে একা কন্যা সুকন্যা। তাই অনুব্রতর কন্য়াকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা যে নেহাত ভুল নয়, শনিবার রাতেই তার প্রমাণ মিলল।