মূলত তারা যে কারণটি দেখিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বেশ কিছুজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। দল থেকে তাদেরকে সতর্ক করা হলেও এবং তাদের নমিনেশন পত্র প্রত্যাহার করতে বলা হলেও তারা তা করেননি। তাই তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হল। এটি দল বিরোধী কাজ বলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে এক ডাক্তারকে তলব CBI-এর! এমন কী দেখেছেন তিনি, তুঙ্গে জল্পনা
অনুব্রতর জেলায় বহিষ্কার ৩০ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মী। এই খবরে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়ে গিয়েছে। দলের নির্দেশ অমান্য করেছেন তারা৷ দলের সিদ্ধান্ত মানেননি৷ বারবার নির্দল হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কথা বলা হলেও সেই সিদ্ধান্ত তারা মানেননি। তাই ৩০ জনকে দল বহিষ্কার করল। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে, এরা অধিকাংশই গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের৷ জেলায় প্রায় ২৫০০ আসন রয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এই সংখ্যাটা নগণ্য৷ তবুও দল বিরোধী কাজের জন্য এই বহিষ্কার।
আরও পড়ুন: অনুব্রতের পথেই শতাব্দী! কেষ্টকে নিয়ে যা বললেন, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!
এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দিল বিভাস অধিকারীর নতুন দল। অল ইন্ডিয়া আর্য মহাসভার নামে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে ২৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিভাস অধিকারীর দল। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি ছিলেন বিভাস। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর, বিভাসকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। বহিষ্কৃত বিভাসের দাবি, তৃণমূল উন্নয়ন না করায়, তিনি আলাদা দল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিরোধীদের আশা, বিভাস অধিকারীর দল প্রার্থী দেওয়ায় ভোট কাটাকাটিতে তাদের সুবিধা হতে পারে। বহিষ্কৃত নেতার দল গড়া ও ভোটে লড়াকে গুরুত্ব দিতে অবশ্য নারাজ তৃণমূল।