প্রসঙ্গত, বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বাঘ’ বলে অবিহিত করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। শনিবার রামপুরহাটের বিষ্ণুপুরে একটি জনসভা করেন ফিরহাদ। সেখানেই তিনি অনুব্রতের সঙ্গে বাঘের তুলনা টানেন।
আরও পড়ুন: ভোরের শিয়ালদহ লোকালে রক্তারক্তি কাণ্ড, আঁতকে উঠল সকলে! আশঙ্কাজনক ব্যবসায়ী
শনিবার রামপুরহাটে হাসন বিধানসভার বিষ্ণুপুরে সভা ছিল ফিরহাদের। ঘটনাচক্রে কিছু দিন আগে ওই এলাকাতেই সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার সেখান থেকেই ফিরহাদ বিজেপির উদ্দেশে বলেন, ''বনের বাঘ এক দিক থেকে অন্য দিকে চলে গেলে শেয়ালরা মাঝেমাঝে লাফালাফি করে। আবার যেই বাঘ আসে তখন শেয়ালগুলি লেজ নাড়িয়ে পালিয়ে যায়।'' এখানেই থামেননি রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর সংযোজন, ''বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছু দিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে তখন আজ যে শিয়ালগুলি হুক্কা হুয়া করছে তারা সকলে আবার খাঁচায় ঢুকে যাবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: বেজে যাচ্ছিল মোবাইল, মালদহ স্টেশনে ট্রেনের বাথরুমে মিলল যাত্রীর দেহ! কারণ ঘিরে অপার রহস্য
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। অনুব্রত মণ্ডলও জেলে। ফলে কিছুটা বেকায়দায় তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে জেলার নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমনই নানা নেতার মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে দলকে। তাই রাশ টানতে এবার বিভিন্ন নেতার হাতে দায়িত্ব ভাগ করে দিচ্ছে শাসক দল। এর আগে ঠিক হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর এ বার থেকে প্রত্যেক রবিবার বীরভূমে দলের বিধায়ক, সাংসদদের নিয়ে বৈঠক হবে। বোলপুরে জেলা দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকের আহ্বায়ক বীরভূমের সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। পাশাপাশি বীরভূম জেলা তৃণমূলের নতুন মুখপাত্র হয়েছেন মলয় মুখোপাধ্যায়। অভিজিৎ সিংহ, চন্দ্রনাথ সিনহা-সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে পরিচালন কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। এই কমিটি বীরভূমে দলের কাজকর্ম কীভাবে এগোবে, তা দেখছে।